নুসরাত হত্যার প্রতিবাদ ও চিরায়ত সুরের মূর্চ্ছনায় যশোরে বরণ করে নেওয়া হচ্ছে বাংলা নতুন বছরকে।
বঙ্গাব্দ ১৪২৬ বরণ উপলক্ষে শহরজুড়ে বসেছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মেলা।
ঐতিহ্যের মঙ্গল শোভাযাত্রা ও সুরের মূর্চ্ছনায় নতুন বছরের প্রথম সকালে উৎসব সাজে সজ্জিত নারী, শিশুসহ নানা বয়সের মানুষের পদভারে মুখর হয়ে ওঠে যশোর শহর।
সকাল ছয়টা ৩১ মিনিটে পৌর উদ্যানে উদীচী যশোরের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। ভৈরবী সুরে সেই চিরায়ত, ‘এসো হে বৈশাখ’ সঙ্গীতে স্বাগত জানানো হয় নববর্ষের প্রথম সকালকে।
একইসাথে নতুন বছরের প্রত্যাশা করা হয় আর যেন না ঘটে নুসরাতের মতো কারো মৃত্যু। উদীচীর অনুষ্ঠানের প্রতিপাদ্য ছিল, নুসরাত হত্যার প্রতিবাদ।
সকাল সাড়ে আটটায় কালেক্টরেট চত্বর থেকে শুরু হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। মঙ্গল শোভাযাত্রার জনক ভাস্কর মাহবুব জামাল শামীমের গড়া প্রতিষ্ঠা চারুপীঠ আর্ট ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়নাভিরাম বিভিন্ন সাজে শোভাযাত্রায় অংশ নেয়।
শোভাযাত্রা উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা পুলিশ সুপার জনাব মো: মঈনুল হক বিপিএম (বার) পিপিএম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো:হুসাইন সরকার,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আইটিসি)অনিন্দিতা রায়,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) মো:সফিকুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন,যশোর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(অপরাধ)মোহাম্মদ সালাউদ্দীন সিকদার,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ডিএসবি) মো:আনসার উদ্দীন,যশোর গোয়েন্দা শাখার ইনচার্জ শেখ মারুফ আহমেদ,কোতয়াালী থানার ওসি  জনাব অপূর্ব হাসান, সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ডিএম শাহিদুজ্জামান সহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নেন।

শোভাযাত্রা শেষে সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো নিজ নিজ দফতরে মিষ্টিমুখের আয়োজন করে। জেলা প্রশাসকের বাসভবনে অনুষ্ঠিত হয় পান্তা উৎসব।
এছাড়া ২০টি সাংস্কৃতিক সংগঠন শহরের বিভিন্ন স্থানে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। সারা শহর নতুন বছরকে বরণ করে নেয়ার সুর মূর্চ্ছনায় মোহিত।
উৎসবে অংশ নেয়া মানুষ মনে করেন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে এ উৎসব ভূমিকা রাখছে।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন