আজ ০৫ আগষ্ট ২০১৯খ্রিঃ তারিখ ১১:০০ ঘটিকায় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে মাননীয় পুলিশ কমিশনার জনাব খন্দকার লুৎফুল কবির, পিপিএম-সেবা এঁর সভাপতিত্বে আসন্ন ঈদ উল আযহা এবং ১৫ই আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস উদযাপন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জনাব সরদার রকিবুল ইসলাম, বিপিএম, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (সদর) জনাব এস এম ফজলুর রহমান, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (উত্তর) জনাব মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন, বিশেষ পুলিশ সুপার (সিএসবি) জনাব রাশিদা বেগম, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) জনাব মোঃ সাইফুল হক, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ডিবি) জনাব বি এম নুরুজ্জামান, বিপিএম, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) জনাব মোঃ জাফর হোসেন, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) জনাব মোঃ এহ্সান শাহ, শিল্প পুলিশ, খুলনা এর পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ কাউছার সিকদার, এনএসআই, খুলনা মেট্রো এর উপ-পরিচালক জনাব মুহাম্মদ জিল্লুর রহমান, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, খুলনা এর উপ-পরিচালক জনাব নূর হাসান আহমেদ, ডেপুটি সিভিল সার্জন, খুলনা জনাব ডাঃ মোঃ আতিয়ার রহমান শেখ-সহ কেএমপি’র সকল উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও থানার অফিসার ইনচার্জগণ, ডিজিএফআই এর প্রতিনিধি, নৌ-পুলিশ, খুলনা এর প্রতিনিধি, জিআরপি থানা, খুলনা এর প্রতিনিধি, খুলনা সিটি কর্পোরেশন, খুলনা এর প্রতিনিধি, বাংলাদেশ ব্যাংক, খুলনা এর প্রতিনিধি, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, খুলনা এর প্রতিনিধি, প্রেস ক্লাব, খুলনা এর নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন সংবাদপত্রের সম্পাদকবৃন্দ, খুলনা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি, খুলনা এর প্রতিনিধি, কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ, পরিবহন সেক্টরের নেতৃবৃন্দ। মতবিনিময় সভায় ঈদ উল আযহা উপলক্ষে দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণ, যানজট নিরসন, কোরবানী পশুর হাটের নিরাপত্তা, বর্জ্য অপসারণ এবং ১৫ই আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস উদযাপন উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনান্তে নিম্নলিখিত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

১. পবিত্র ঈদ উল আযহা এবং ১৫ই আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস উদযাপন, ১৭ই আগষ্ট সিরিজ বোমা হামলা ও ২১শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলা দিবস উপলক্ষে খুলনা মহানগরী জুড়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা হবে।
২. খুলনা সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে কোরবানীর পশু জবাই করতে হবে এবং নগরীকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য কোরবানী পশুর বর্জ্য ও রক্ত দ্রুত অপসারণ করতে হবে।
৩. কোরবানী পশুর হাটে নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও পর্যাপ্ত ভলেন্টিয়ার নিয়োগ করতে হবে।
৪. দৃষ্টিগোচর হয় এমন স্থানে হাসিল সংক্রান্ত মূল্য তালিকা ঝুলিয়ে রাখতে হবে এবং জাল টাকা সনাক্তকরণ মেশিন স্থাপন করতে হবে।
৫. পশু বহনকারী যানবাহনের সামনে তার গন্তব্যস্থল/হাটের নাম ব্যানার করে স্পস্টভাবে লিখে রাখতে হবে।
৬. সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া কোরবানীর পশু বহনকারী যানবাহন আটকানো যাবে না।
৭.নৌ পথে পশু বহনকারী যানবাহনের নিরাপত্তার বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে।
৮.নিজস্ব সিকিউরিটি গার্ড/ভলান্টিয়ার এবং সিসি ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে বিপনী বিতান/মার্কেট/বাজারসমূহের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
৯.বিপনী বিতান/মার্কেট/বাজার কর্তৃপক্ষের চাহিদা মোতাবেক নিরাপত্তার স্বার্থে প্রয়োজনীয় পুলিশী সহায়তা দেয়া হবে।
১০.জনসাধারণ ও পশু বহনকারী যানবাহনের নির্বিগ্নে যাতায়াতের ব্যবস্থা করতে হবে এবং অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি, ছিনতাই ইত্যাদি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
১১. ঈদ উল আযহা উপলক্ষে পরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি করে যাত্রীদের ভোগান্তি করা না হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন