♣♣♣♣
আব্দুর রহমান:
মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর এই পবিত্র দিনে পশু কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি খুঁজছেন মুসলমানরা। বাঙালি সমাজে কোরবানির ঈদ নামেও পরিচিত মুসলমানদের এই অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। যুগ যুগ ধরে এই ঈদ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর করে আসছে পবিত্র ঈদুল আজহা।

আজ বুধবার (২২আগস্ট) সকালে মুসল্লিরা নিকটস্থ ঈদগাহ বা মসজিদে ঈদুল আজহার দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করতে জায়নামাজ পাটি হাতে নিয়ে বের হয়। সকাল সাড়ে ৭টায় সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হয় ঈদুল আজহার দুটি জামাত।

প্রথম জামাতে ইমামতি করেন পুরাতন কোর্ট জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মো. জালাল উদ্দীন। জামাতে অংশ নেন সাতক্ষীরা ০২ আসনের সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা আলহাজ্ব শেখ আজিজুল হক, কেন্দ্রীয় ঈদগাহ কমিটির শেখ নিজাম উদ্দিন, নাজমুল হক বকুল, আহ্ছানিয়া মিশন জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম জিয়াসহ স্থানীয় মুসুল্লিবৃন্দ। নামাজের খুতবায় তিনি কোরবানির তাৎপর্য তুলে ধরেন এবং রেফায়ী জামে মসজিদে ঈদের দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করেন হাফেজ মাওলানা আব্দুল করিম।

সকাল সাড়েসাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ ইফতেখার হোসেন। আরো উপস্থিত ছিলেন ভয়েস অব সাতক্ষীরার সম্পাদক এম. কামরুজ্জামান, দুপ্রক জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য আব্দুর রহমানসহ বিশিষ্ট নাগরিকেরা অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া এদিকে সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনস মাঠে ঈদের জামাতে অংশ নেন জেলা পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমানসহ জেলা পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ। পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান দৈনিক পত্রদূত পত্রিকার নিজস্ব প্রতিনিধি আব্দুর রহমানকে বলেন, ‘জেলার আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সকল প্রকার নাশকতা প্রতিকার বা সড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে দায়িত্ব পালন করছেন। এরপরেও যে কোন ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটলে জনগনকে সরাসরি ০১৭১৩ ৩৭৪১৩৫ নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য জানান।’
সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে সকাল ৮টায় ঈদের জামাতে অংশ নেন পৌর কাউন্সিলর শেখ শফিক উদ দৌলা সাগর, মাসিক সাহিত্যপাতার সহ-সভাপতি এমএম রবিউল ইসলাম (ষ্ট্যাম ভেন্ডার)সহ সুধীজন। ঈদের নামাজ শেষে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে পশু কোরবানি করবেন সামর্থ্যবান মুসলমানরা। ঈদুল আজহার সঙ্গে পবিত্র হজের সম্পর্ক রয়েছে।

উল্লেখ্য, ঈদুল আজহা হজরত ইব্রাহিম (আ.) ও তার পুত্র হজরত ইসমাইলের (আ.) সঙ্গে সম্পর্কিত। হজরত ইব্রাহিম (আ.) স্বপ্নে আদিষ্ট হয়ে পুত্র ইসমাইলকে আল্লাহর উদ্দেশে কোরবানি করতে গিয়েছিলেন। আল্লাহর পক্ষ থেকে এই আদেশ ছিল হজরত ইব্রাহিমের জন্য পরীক্ষা। তিনি পুত্রকে আল্লাহর নির্দেশে জবাই করার সব প্রস্তুতি নিয়ে সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ইসলামে বর্ণিত আছে, নিজের চোখ বেঁধে পুত্র ইসমাইলকে ভেবে যখন জবেহ সম্পন্ন করেন তখন চোখ খুলে দেখেন ইসমাইলের পরিবর্তে পশু কোরবানি হয়েছে, যা এসেছিল আল্লাহর পক্ষ থেকে। সেই ঐতিহাসিক ঘটনার স্মৃতিধারণ করেই হজরত ইব্রাহিমের (আ.) সুন্নত হিসেবে পশু জবাইয়ের মধ্য দিয়ে কোরবানির বিধান এসেছে ইসলামী শরিয়তে। সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য পশু কোরবানি করা ওয়াজিব।

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ ইফতেখার হোসেন আব্দুর রহমানকে বলেন, ‘সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠেয় প্রধান জামাতে নারীদের জন্যও ঈদের নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে। জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের জামাতে মহিলাদের অংশ নেয়ার জন্য আলাদা প্রবেশপথ ও বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন