♣♣♣
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা সমুন্নত রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, কোনো রকম বিশৃঙ্খলা কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। শিক্ষার্থীদের তাদের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে হবে এবং কোনোভাবেই কোনো ধরনের উশৃঙ্খলা গ্রহণযোগ্য হবে না। বিশ্ববিদালয়ের নিয়ম মেনেই সকলকে চলতে হবে।
আজ শনিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম রোকেয়া হলের ৭মার্চ ভবনের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের স্মরণে ঢাবি’র এই ছাত্রী হলের ভবনটির নামকরণ করা হয়েছে ৭মার্চ ভবন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্বায়ত্বশাসিত। এসব প্রতিষ্ঠান নিজেদের উপার্জনে চলবে তারও বিধান রয়েছে। কিন্তু আমাদের এখানকার যারা শিক্ষার্থী তাদের এটা ভাবা উচিত যে, পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে কম খরচে উচ্চশিক্ষা বাংলাদেশে দেয়া হয়ে থাকে। প্রায় শতভাগ খরচই কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া হচ্ছে। এটা পৃথিবীর কোনো দেশে রয়েছে বলে আমার জানা নেই।
তিনি বলেন, কাজেই এর মর্যাদাও শিক্ষার্থীদের দিতে হবে এবং বিশৃঙ্খলা কখনও গ্রহণযোগ্য নয়। সবাইকে একটা নিয়ম মেনে চলতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করতে হলে সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়ম মেনে সেভাবেই আচরণ করতে হবে। এটাই জাতি আশা করে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা চাই সব দিক থেকে আমাদের ছেলে-মেয়েদের জীবনমান উন্নত হোক, তারা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাক। প্রজন্মের পর প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশকে গড়ে তুলে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
এছাড়া, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরিন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দীন, রোকেয়া হলের প্রাধাক্ষ্য ড. জিনাত হুদাও অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, জাতীয় অধ্যাপকবৃন্দ, শিক্ষাবিদ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন