♦♦♦♦
কালিগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পাটির সাবেক সেক্রেটারি ও জনপ্রিয় ইউপি চেয়ারম্যান কে এম মোশারাফ হোসেনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। নিজের গড়া প্রতিষ্ঠান সহিলউদ্দীন এন্ড করিমুন্নেছে একাডেমীর চত্বরে ছোট ভাই কে এম আশারাফ হোসেনের কবরের পাশেই শায়িত হলেন তিনি। রবিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৬ টায় কৃষাণ মজদুর ইউনাইটেড স্কুলের মাঠে দশ সহস্রাধিক জনতার অংশগ্রহণে জানাজা নামাজ শেষে সন্ধ্যায় সমাহিত করা হয়। জানাজার নামাজের পূর্বে স্মৃতিচারণ মূলক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা ৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শাহাদাৎ হোসেন, আলহাজ্ব এইচ এম গোলাম রেজা, কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ ওয়াহেদুজ্জামান, থানার অফিসার ইনচার্জ হাসান হাফিজুর রহমান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও মৌতলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী, বিষ্ণপুর চেয়ারম্যান শেখ রিয়াজ উদ্দীন, তারালী চেয়ারম্যান এনামুল হোসেন ছোট, ধলবাড়িয়া চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গাজী শওকাত হোসেন, রতনপুর চেয়ারম্যান আশরাফুল হোসেন খোকন, কাশিমাড়ি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুর রউপ, জাতীয় যুব সংহতির জেলা সভাপতি আকরাম হোসেন বাপ্পী ও সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন ও হত্যার স্বীকার ককে এম মোশারাফ হোসেনের বড় ভাই কে এম সোহারাব হোসেন প্রমুখ। জানাজায় অংশগ্রহণ করেন সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতুবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিক সহ সর্বস্তরের জনতা। উল্লেখ্য যে, কালিগঞ্জ উপজেলার অতি জনপ্রিয় চেয়ারম্যান কে এম মোশারাফ হোসেন (৪৮) কে অঞ্জাতনামা সন্ত্রাসীরা শনিবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০ টায় কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। প্রত্যক্ষদর্শী গ্রাম পুলিশ রমজান আলী জানান, বালিয়াডাঙ্গা বাজারস্থ কৃষি ব্যাংকের সামনে আওয়ামী যুবলীগ কার্যালয়ে তিনি বসা ছিলেন। এমন সময় পৃথক দুটি মটর সাইকেল যোগে ৬জন অঞ্জাতনামা ব্যক্তি অতর্কিতভাবে কুপিয়ে ও পরপর কয়েক রাউন্ড গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে দ্রুত চলে যায়। তাৎক্ষনিক ভাবে স্থানীয়রা রক্তাক্ত চেয়ারম্যানকে নিজস্ব মাইক্রোযোগে কালিগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাঃ মহাসিন আলী মৃত্যু ঘোষণা করে। এদিকে চেয়ারম্যান মোশারাফ হত্যায় জড়িতদের ধরতে থানা পুলিশ অভিযান অব্যাহত রাখলেও শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কাওকে আটক করতে পারেনি।
সূত্রঃদৈনিক সাতক্ষীরা ডটকম।
পূর্ববর্তী পোস্ট