Citizen Journalist(জিমি): ভালোবাসা আর মানবতার অপর নাম এখন সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার জনাব মোঃ সাজ্জাদুর রহমান।
সাতক্ষীরা জেলার দায়িত্ব নেবার পর থেকে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক চোরাকারবারিদের যেমন করেছেন দমন তেমন অসহায় দুস্থ মানুষদের জন্য খুলে দিয়েছেন তার দরজা।
তার পুলিশ বাহিনীকে তিনি দেশের সেরা সাধারণ মানুষের বন্ধুতে পরিণত করেছেন। আপদে বিপদে অসহায় নির্যাতিত মানুষের একমাত্র আস্থা এখন সাতক্ষীরার সুযোগ্য পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান।
ঢাকাতে দুর্ঘটনায় দুই ছাত্র নিহত হবার পর নিরাপদ সড়কে দাবিতে সাতক্ষীরার ছাত্রদের বিক্ষোপ সমাবেশে , ছাত্রদের তিনি পানি পান করান ও ভালোবাসা দিয়ে স্কুলে কলেজে ফিরে যাবার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন ।
সাতক্ষীরার বহুল আলোচিত অনলাইন পত্রিকা দৈনিক সাতক্ষীরাতে গত ২৯ আগস্ট ২০১৮ তারিখে ‘চোখের জলে মাকে বাঁচানোর জন্য ছেলের আকুতি’ নামে প্রকাশিত সংবাদের পর এগিয়ে আসেন সাতক্ষীরার কৃতি সন্তান আফসানা শারমিন । তিনি নিউ ওয়ার্ক থেকে ৩০শে আগস্ট ৫০১৪ টাকা দিয়ে প্রথম নার্গিসের চিকিৎসায় এগিয়ে আসেন । সেই সাথে একদল উদ্যমী তরুণ ‘সাতক্ষীরা ব্লাড ব্যাংক’ এর সদস্যরা বিভিন্ন ভাবে ২৭৫০ টাকা সংগ্রহের মাধ্যমে বাঁচিয়ে রাখেন নার্গিসের বাঁচার স্বপ্ন ।
প্রাথমিক চিকিৎসার পর, জরায়ুতে ঘা ও পিত্ত-থলীতে পাথর অপারেশনের জন্য জোট বাধে তারা । একটি ছেলের কান্না পরিণত হয় একদল বাঙলার ছেলের কান্নায় । অসহায় নার্গিসকে বাঁচাতে তাই ছুটে চলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। খেতে হয়েছে অনেক হোচট শুনতে হয়েছে অনেক অপবাদ।
কিন্তু আমরাও পারি স্বপ্ন কে সত্যি করতে সমাজকে সুন্দর করতে। থেমে যায়নি তাদের পথচলা, অসহায় মা নার্গিস কে নিয়ে তাই আজ দুপুরে হাজির হয় এসপি সাজ্জাদুর রহমানের কাছে। একটি মাকে বাঁচানোর কথা অনেক সন্তানের কণ্ঠে ভালোবাসায় বুকে টেনে নেন তিনি মুছিয়ে দেন অশ্রু । আশ্বাস দেন মা নার্গিসের চিকিৎসার জন্য সর্বচ্চো চেষ্টা করবেন তিনি ।
সুত্রঃ দৈনিক সাতক্ষীরা।