Citizen Journalist(জিমি):বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) জাবেদ পাটোয়ারী বলেছেন, ‘কোন নিরীহ মানুষকে হয়রানি করা যাবে না। কোন নিরীহ মানুষকে যদি কোন পুলিশ সদস্য হয়রানি করে যে কেউ আমাদের ফোন করে অথবা ৯৯৯ ফোন করে আমাদের জানালে আমরা সেই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

আইজিপি বলেন, ‘মাদক ও জঙ্গিবাদ একটি সামাজিক সমস্যা। আমরা যেটি করছি সেটি একটি সামাজিক আন্দোলনে রুপ দিতে চাচ্ছি। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সমাজ হতে মাদক ও সন্ত্রাস নির্মূল অভিযান সফল হবে। মাদক ও সন্ত্রাস, জঙ্গি সম্পর্কে নিজে সচেতন না হলে শুধুমাত্র আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান দিয়ে মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূল করা সম্ভব হবে না। সামাজিক এই সমস্যা সামাজিকভাবে মোকাবেলা করতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, পুলিশের কোন সদস্য যদি মাদক, সন্ত্রাসের সাথে জড়িত হয়, কেউ যদি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জঙ্গিবাদ অথবা সন্ত্রাসকে উসকে দেয় আমরা তাকেও ছাড়বো না। তাদের জন্য আমাদের কটোর হুসিয়ারী। আমরা আপনাদের অংশ, আমরা এই সমাজেরই অংশ। ২ লাখ পুলিশের মধ্যে যদি কতিপয় সদস্য মাদকসংক্রান্ত কোন অপরাধে জড়িত হয়, তাদের সম্পর্কে আপনারা আমাদের তথ্য দেবেন। ইতিমধ্যে আপনারা যাদের বিরুদ্ধে তথ্য দিয়েছেন আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। মাদকের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ চলছে আমরা সবাই মিলে সেই যুদ্ধে লড়ে যাবো। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমাদের জয়ী হতেই হবে। এখানে হারার কোন সুযোগ নেই।’

পুলিশের নিয়োগ সংক্রান্ত ব্যাপারে তিনি বলেন, আমি আইজিপি হওয়ার পর ১০০ টাকায় পুলিশে চাকরি হয়েছে। তবে ওই ১০০ টাকাও কিন্তু পুলিশ নেয়নি। দরখাস্ত করার জন্য ওই ১০০ টাকা খরচ হয়েছিল।
সাতক্ষীরায় দুই দিনের সফরের প্রথমদিন আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে মাদক, জঙ্গি ও সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন তিনি।

সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোঃ সাজ্জাদুর রহমানের সভাপতিত্বে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ আয়োজিত মাদক, জঙ্গি ও সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন খুলনা রেঞ্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টর  ডিআইজি জনাব মোঃ দিদার আহমেদ, ঢাকা নৌ পুলিশের ডিআইজি শেখ মারুফ হাসান ,খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডি আই জি জনাব মোঃ হাবিবুর রহমান,খুলনা বিভাগের অতিরিক্ত  বিভাগীয় কমিশনার নিশ্চিন্ত কুমার পোদ্দার, সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য জগলুল হায়দার, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেথার হোসেন, ৩৩ বর্ডার গার্ড ব্যাটলিয়ান অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল সরকার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান,খুলনা জেলা পুলিশ সুপার জনাব এস এম শফিউল্লাহ,নড়াইলের পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মাদ জসীম উদ্দীন,যশোরের পুলিশ সুপার জনাব মোঃ মঈনুল হক,খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি অফিসের স্টার্ফ অফিসার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব কাদের বেগ,  সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহম্মেদ, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক জেলা পরিষদ প্রশাসক বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা আলহাজ্জ মুনসুর আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম,জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জোৎন্সা আরা,  সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মুজিবর রহমান, সাতক্ষীরা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সভাপতি আবুল কালাম বাবলা, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোশাররফ হোসেন মশু, সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাসকিন আহম্মেদ, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, দেবহাটা উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল গণি, কলারোয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মদে স্বপন, সাতক্ষীরা তালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার প্রমূখ।

সমাবেশ শেষে পর্যায়ক্রমে অফিসার্স মেস ও পুলিশ লাইন্স জামে মসজিদের পুননির্মাণ কাজের ফলক উন্মোচন ও সাতক্ষীরা বাইপাস সড়কে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন তিনি।
বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শেষে খুলনা রেঞ্জের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তিনি। পরবর্তীতে শ্যামনগর থানা পরিদর্শন করবেন বলে জানা গেছে।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন