২৯ সেপ্টেম্বর রোজ শনিবার সকালে, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভানেত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু’র সুযোগ্য কন্যা, বিশ্বশান্তির অগ্রদূত, গণতন্ত্রের মানসকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭২তম শুভ জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামীলীগ সরকারের উন্নয়ন ও সাফল্য তুলে ধরতে সাতক্ষীরায় বিশাল নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শহরের নিউ মার্কেট মোড় (শহিদ আলাউদ্দিন চত্বর) থেকে শুরু করে রাস্তার দু’ধারে দাঁড়িয়ে এ মহিলা সমাবেশ চলতে থাকে। বেলা ১১টার মধ্যে সদরের ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ০৯টি ওয়ার্ড থেকে নেতা কর্মী ও মহিলারা সমবেত হলে পুরো সমাবেশ এলাকা পরিণত হয়ে যায় জনসমুদ্রে। এ উৎসবমুখর পরিবেশকে আরও সাজিয়ে তোলে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ শুভ শুভ, শুভ দিন শেখ হাসিনার জন্মদিন’ এই স্লোগানে আর ব্যানার, ফেস্টুনের সঙ্গে ১২ হাজারের অধিক নেতা-কর্মী ও নারীদের অংশগ্রহণে মুখরিত হয়ে উঠে সাতক্ষীরা শহর। সাতক্ষীরার ইতিহাসে এত বড় নারী সমাবেশ আগে দেখিনি সাতক্ষীরাবাসী।
এসময় বীর মুুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এম.পি তার বক্তব্যে বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা দেশের উন্নয়ন করে দেখিয়েছেন। দেশ থেকে ক্ষুধা ও দারিদ্র দূর করে তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ কে উন্নয়নশীল দেশে পরিনত করেছেন। এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামীতে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি আওয়ামীলীগ ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ও প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নৌকায় আবারো ভোট দিয়ে জয়যুুুুক্ত করবেন। তিনি আরো বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে এই নারী সমাবেশে আওয়ামীলীগ সরকারের উন্নয়ন ও সাফল্য তুলে ধরতে আমাদের এই উদ্যোগ। কোন অপশক্তি যেন দেশকে আর ধ্বংসের দিকে নিয়ে যেতে না পারে সেজন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যারা মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাস করেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি তারা সতর্ক থাকবেন। এ জন্য দেশবাসীকে ও সজাগ ও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত দেশ গড়তে সবার সহযোগিতা চেয়ে এম.পি রবি বলেন, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদক যেন যুব সমাজকে নষ্ট করতে না পারে। এ জন্য অভিভাবক, স্কুল-কলেজের শিক্ষক, ধর্মীয় নেতাদের সজাগ থাকতে হবে। আমরা সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে চাই। এ জন্য সকলের সহায়তা প্রয়োজন। জননেত্রী শেখ হাসিনা বাঙালি জাতিসত্তার আলোকবর্তিকা ও বাঙালী জাতির জন্য আর্শিবাদ। তার জন্ম হয়েছিল বলেই বাংলাদেশ আজ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ। এই নারী সমাবেশ বন্ধ করতে একটি কুচক্রী মহল শহরের ভিভিন্ন পয়েন্টে মটরসাইকেল দিয়ে নারীদের পথরোধ করে সমাবেশ বানচাল করার চেষ্টা করেছে। আমি তাদেরকে ধিক্কার জানাই। যারা জননেত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে নারী সমাবেশে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড ও সাফল্য জনগণের মাঝে তুলে ধরার এই প্রয়াসকে বাঁধাগ্রস্থ করেছে তারা কখনও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ্যের সৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের মানুষ হতে পারেনা। তাদের দেশ ও জাতির উন্নয়নের স্বার্থে এধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার আহবান জানান।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শেখ নুরুল হক, দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ,জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক সাদেকুর রহমান সাদেক, অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সাহাদাৎ হোসেন, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদিকা জ্যোস্না আরা, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান অসলে, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান, শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু, জেলা শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি এপিপি অ্যাডভোকেট শেখ তামিম আহমেদ সোহাগ, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক জহিরুল হক নান্টু, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক মীর মোশতাক আলী, জেলা তাঁতীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মীর আজহার আলী শাহিন প্রমুখ।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান, ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. রমজান আলী বিশ্বাস, বল্লী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান লাল্টু, বাঁশদহা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাস্টার মফিজুর রহমান, কুশখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ইউছুফ আলম, সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদিকা সুলেখা দাস, রোখসানা পারভীন, দপ্তর সম্পাদিকা তহমিনা ইসলামসহ সদরের ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ০৯টি ওয়ার্ডের নেতা কর্মী এবং আওয়ামীলীগের অংগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশের আলোচনা সভার শুরুতে জননেত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা এবং তিনি যেন আবারও চতুর্থ বারের মত বাংলার প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন সেই কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন পুরাতন কোর্ট মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ ক্বারী শেখ ফিরোজ আহমেদ।
সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামীলীগের নির্বাহী সদস্য ডঃ মুনছুর আলী।