দেশের ইতিহাসে বর্বরোচিত ভয়াবহ একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। এ ছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার বেলা ১২টার দিকে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে অস্থায়ী বিশেষ আদালতে এ মামলার রায় ঘোষণা করেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন।
আজ রায় ঘোষণার মধ্য দিয়ে চৌদ্দ বছর এক মাস ১৮ দিনের অপেক্ষার অবসান হলো। জাতি আরেকটি কলঙ্কের দায় থেকেও মুক্তি পেলো; যে কলঙ্ক লেপন করা হয়েছিল বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে। ওই দিন আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে চালানো হয় ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা।
হত্যাযজ্ঞের পর শুরু থেকেই তদন্ত ভিন্ন খাতে নেওয়ার নানা অপচেষ্টা করা হয়। সাজানো হয় জজ মিয়া নাটক। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসে নতুনভাবে তদন্ত শুরু করে। বেরিয়ে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর অজানা তথ্য।
তদন্তে উঠে আসে, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় পরিচালিত এ হামলার মূল টার্গেট ছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রযন্ত্র ও রাষ্ট্রক্ষমতাকে ব্যবহার করে একটি রাজনৈতিক দলের প্রধানকে হত্যার এমন ষড়যন্ত্র ইতিহাসে বিরল। তবে সেদিন ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান শেখ হাসিনা। কিন্তু বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বয়ে যায় রক্তগঙ্গা। হামলায় মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন প্রাণ হারান।
সূত্রঃ ভয়েস অফ সাতক্ষীরা।