সাতক্ষীরা সহ দেশ-ব্যাপি দেবীর বোধনের মধ্যে দিয়ে থেকে শুরু হয়েছে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা। শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শারদীয় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের কিংবদন্তি সভাপতি,সাবেক সংসদ সদস্য,সাবেক জেলা পরিষদ প্রশাসক বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা আলহাজ্জ মুনসুর আহম্মেদ। শারদীয় দুর্গা পূজা উপলক্ষে শুভেচ্ছা বাণীতে জেলা আ’লীগ সভাপতি মুনসুর আহম্মেদ বলেছেন, “বাঙালি হিন্দুদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। সমাজে অন্যায়, অবিচার, অশুভ ও অসুরশক্তি দমনের মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এ পূজা হয়ে থাকে। আবহমানকাল ধরে এ দেশের হিন্দু সম্প্রদায় বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎসবমুখর পরিবেশে নানা উপচার ও অনুষ্ঠানাদির মাধ্যমে দুর্গাপূজা পালন করে আসছে। এ বছর কৈলাশের স্বামীগৃহ থেকে মা দুর্গা পিতৃগৃহে আসবেন ‘ঘোটক’-এ অর্থাৎ ঘোড়ায় চড়ে, আর যাবেন দোলায় চড়ে। চন্ডীপাঠ আর অমাবশ্যায় হৃদয়ে নাচন তুলে ঢাকে পড়বে কাঠি। দেবী দুর্গার আগমনে বিভিন্ন মন্ডপে ধূপের ধোঁয়ায় ঢাক-ঢোলক, কাঁসর, মন্দিরের চারপাশে প্রতিধ্বনিত হয়ে দেশের বিভিন্ন মন্দির-মন্ডপে দেবী দুর্গার আগমনী বার্তায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে উৎসবের আমেজ বইতে শুরু করেছে। দুর্গা পুজোর বাজনা বেজে ওঠেছে সারাদেশে। এ উৎসব সর্বজনীন।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য অক্ষুন্ন রেখে জাতীয় উন্নয়নে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখার আহ্বান জানিয়ে জেলা আ’লীগ প্রেসিডেন্ট মুনসুর আহম্মেদ বলেন , “দুর্গোৎসব ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার মধ্যে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের বন্ধনকে আরও সুসংহত হোক-এ কামনা করি। “হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে আমি সাতক্ষীরাসহ দেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বী সকল নাগরিককে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। দুর্গাপূজা শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসবই নয়, এটি আজ সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে আমি হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ সব নাগরিকের শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করছি।
“বাংলাদেশ ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সব মানুষের নিরাপদ আবাসভূমি। সংবিধানে সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষের অধিকার সুনিশ্চিত করা হয়েছে। সকলে মিলে যুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি। এই দেশ আমাদের সকলের। “আমার প্রত্যাশা, বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রেখে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে ঐক্যবদ্ধভাবে মিলে সক্ষম হব। দুর্গাপূজা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। যুগ যুগ ধরে এদেশের হিন্দু সম্প্রদায় বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা পালন করে আসছে। জীবের দুর্গতি নাশ করেন বলে দুর্গতিনাশিনী হিসেবে হিন্দুদের নিকট দেবীদুর্গা পূজনীয়। ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি দেশের মানুষের মাঝে পারস্পরিক সহমর্মিতা ও ঐক্য সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শারদীয় দুর্গোৎসব সবার মধ্যে সম্প্রীতি ও সৌহাদ্যের বন্ধনকে আরো সংহত করবে- এটাই আমার প্রত্যাশা।