আকরামুল ইসলামঃ সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার গুণাকরকাটি এলাকায় লোকালয়ে এসে হাঁস-মুরগি ধরে খায় শিয়াল। এ কারণে ফাঁদ পেতে ছয়টি শিয়ালকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন স্থানীয় লোকজন।
এ নিয়ে প্রকৃতিপ্রেমী বিভিন্ন সংগঠন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বন্যপ্রাণি রক্ষায় কঠোর আইনের প্রয়োগ বা জনসচেতনতা না থাকয় এমন ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি তাদের।
স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার গুণাকরকাটি এলাকায় বুধবার রাতের আঁধারে ফাঁদ পেতে ধরা হয় ছয়টি শিয়াল। নেট জালের ফাঁদে আটকা পড়া শিয়ালগুলোকে বৃহস্পতিবার সকালে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেন স্থানীয়রা।
আশাশুনির শ্রীউলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিল বলেন, বনাঞ্চল কমে যাওয়ার কারণে বন্যপ্রাণিগুলোর আবাসস্থল কমে যাচ্ছে। যার কারণে বিভিন্ন সময় বন্যপ্রাণিরা লোকালয়ে ঘুরে বেড়ায়। সেই সুযোগে শিকারিরা বন্যপ্রাণি ধরে পিটিয়ে মেরে ফেলে। এতে একদিকে যেমন পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে অন্যদিকে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে জীববৈচিত্র্য। বন্যপ্রাণির বিষয়ে সবার সচেতন হওয়া জরুরি।
সাতক্ষীরার সচেতন নাগরিক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট ফাহিমুল হক কিসলু বলেন, বন্যপ্রাণি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। নির্বিচারে তাদের হত্যা করা আইনণত দণ্ডনীয় অপরাধ। যারা একাজে জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা, সেই সঙ্গে জনসাধারণকে বন্যপ্রাণি হত্যা না করার বিষয়ে সচেতন করা জরুরি। তা না হলে অতিদ্রুত বন্যপ্রাণিরা হারিয়ে যাবে।
আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাফফারা তাসনীন জাগো নিউজকে বলেন, শিয়ালগুলোকে পিটিয়ে হত্যার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে তদন্ত টিম পাঠানো হয়েছে। শিয়ালগুলোকে পিটিয়ে হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।