
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েলকে ফুলের তৈরি সুদৃশ্য ‘নৌকা’ দিয়ে বরণ করে নিলেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে হেলিকপ্টার যোগে নগরীর শহিদ শেখ আবু নাসের হাসপাতালের হেলিপ্যাডে পৌঁছান তিনি। সেখানে সহস্র নেতা-কর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত হন রাজনীতিতে প্রবেশকারী এ নেতা। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-২ আসনে আ’লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী তিনি।
মোটর শোভাযাত্রা, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় ঘোষণার মধ্য দিয়ে খুলনা-২ আসনের প্রার্থিতার জানান দিলেন রাজনীতিতে নতুন মুখ প্রধানমন্ত্রীর চাচাতো ভাই ব্যবসায়ী নেতা শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল। বছরজুড়ে আলোচনা ছিল এ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মিজানুর রহমান মিজানের স্থলে নতুন মুখের আগমন ঘটবে। বেশ কিছুদিন জাতীয় ফুটবলার সালাম মুর্শিদীর নাম প্রচার হলেও খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মোস্তফা রশিদী সুজার মৃত্যুতে উপ-নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি নির্বাচিত হন। এরপর আবারো সংসদ সদস্য মিজান নেতাকর্মীদের নিয়ে আগামী নির্বাচনের জন্য প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। এর মধ্যে খুলনা সদর ও সোনাডাঙ্গা থানা এলাকায় ‘নৌকা প্রতীকে’ ভোট প্রার্থনা তার জন্য শেখ জুয়েলের ছবি সংবলিত প্যানা ও পোস্টারে ছেয়ে যায়। বিশালাকৃতির বিলবোর্ডগুলোতে জুড়ে দেয়া প্যানায় আভাস দেয় পরিবর্তনের। খুলনা-২ আসনে প্রস্তুতি গ্রহণে স্বয়ং সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন বলে ঘোষণা দেন বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল। গতকাল বৃহস্পতিবার জুয়েল হেলিকপ্টারযোগে দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে নামেন।
এখান থেকে তাকে সহস্রাধিক মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা সহকারে নগরীর শেরেবাংলা রোডস্থ বাড়িতে নিয়ে যান। বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে নেতাকর্মীদের সহযোগিতা কামনা করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছোট ভাই শেখ জালাল উদ্দিন রুবেল, বড় ভাই শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি’র পুত্র শেখ তন্ময়, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, চেম্বার সভাপতি কাজী আমিনুল হক, সদর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম, সোনাডাঙ্গা থানা সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, দৌলতপুর থানা সভাপতি শেখ সৈয়দ আলী, মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সরদার আনিসুর রহমান পপলু, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি শেখ মোশাররফ হোসেন, ছাত্রলীগ সভাপতি শেখ শাহজালাল সুজন, সাধারণ সম্পাদক এসএম আসাদুজ্জামান রাসেলসহ আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সূত্রঃ খুলনার কন্ঠ ডটকম।
