বিশেষ প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় পুলিশের কাছ থেকে ধাপ্পা দিয়ে ১৮৫০ টাকার মাল বিক্রি করে একটি পণ্যে ১১৫০ টাকা লাভ করলো কলকাতা বাজার।বিষয়টি অবিশ্বাস্য হলেও সত্য।ভূক্তভোগী পুলিশ সদস্য প্রতিবেদক কে জানান, চলতি মাসের(নভেম্বর/১৮)মাসের ৩/৪ তারিখে শহরের কোলকাতা বাজার শফিং কমপ্লেক্স থেকে একটি হেয়ার ড্রাই মেশিন কেনেন তার পরিবারের জন্য।যার মডেল নং km-2376, কোম্পানির নাম kemei.যার গায়ে ফিক্স প্রাইজ হিসাবে দাম লেখা ১৮৫০ টাকা।জিনিষটি কেনার পর বাড়িতে ছিল বেশ ১৫/১৬ দিন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধায় ভুক্ত ভোগী পুলিশ সদস্য শহরের পাকাপোল মোড়ে অবস্থিত নিউ গুলশানে যান শীতের কসমেটিক্স কিনতে।শীতের প্রসাধনী কিনতে কিনতে নিউ গুলশান দোকানের র্্যাকে তিনি দেখতে পান kemei হেয়ার ড্রাই মেশিন টি।
তখন ভুক্তভোগী পুলিশ সদস্য দোকানের প্রোপাইটার নাদিম সাহেব কে প্রশ্ন করেন ভাই কিমি হেয়ার ড্রাই মেশিনটার দাম কতো এবং এর মডেল নং কতো?দোকান মালিক তখন উত্তর দেন মডেল নং 2376 আর মূল্য ৭৫০ টাকা।সাব-ইন্সপেক্টর তখন দোকান মালিক কে বল্লেন আপনি আমার জন্য কত রাখতে পারবেন? প্রোপাইটার নাদিম তখন সাব-ইন্সপেক্টর কে বলেন আপনার জন্য ৫০ টাকা কম অথাৎ ৭০০ টাকা।
পুলিশ সদস্য তখন দোকান মালিক কে বল্লেন আমি একই জিনিষ,একই মডেলের হেয়ার ড্রাই মেশিন টি গত ১৪-১৫ দিন আগে সাতক্ষীরা IFIC ব্যাংকের অপজিটে অবস্থিত কোলকাতা বাজার থেকে কিনেছি ১৮৫০ টাকা দিয়ে।
পুলিশের এসআই তখন বলেন মানুষ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালায় কিছু লাভ করার জন্য।লাভ করে করুক,তাতে কোন সমস্যা নেই আমার। একটি পণ্য বিক্রি করে ২০০/৩০০ টাকা লাভ করুক তাতে কোন সমস্যা নেই।কিন্তু ৭০০ টাকার পণ্য ১৮৫০ টাকায় বিক্রি করলো পুলিশের কাছে এটা কোন ধরনের ব্যবসা??একই পণ্য দুই দোকানে দুই রকম (২০০-১০০)টাকার পার্থক্য হতেই পারে।কিন্তু একই পণ্যে ১১৫০ টাকা বেশি এটা কোন রকম গ্রহণযোগ্য নহে।
পরে ভুক্তভোগী পুলিশ সদস্য সাতক্ষীরার সিটিজেন জার্নালিস্ট ও আপডেট সাতক্ষীরার প্রতিবেদক কে বিষয়টি অবগত করেন।ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে সিটিজেন জার্নালিস্ট আজ রাত ৮.৪৫ মিটিনের সময় ভুক্তভোগী পুলিশ সদস্যকে নিয়ে সরেজমিনে যান কোলকাতা বাজার শফিং কমপ্লেক্সে।সেখানে গিয়ে পণ্যটির দাম, মডেল নং সহ পণ্যটির ছবি তোলেন সিটিজেন জার্নালিস্ট।এসময় কলকাতা বাজার শফিং কমপ্লেক্সের স্বত্বাধিকারী জনাব (অ) শফিং মহলে উপস্থিত ছিলেন।এসময় ৭০০ টাকার পণ্য ১৮৫০ টাকায় কেনো বিক্রি করছেন তারা, বিষয়টি জানতে চাইলে প্রোপাইটার (অ) বলেন কোন ভাবেই এটি সম্ভব নয়।আপনারা তাহলে অন্য জিনিষ দেখে ভুল করেছেন।পরে তাকে বলা হয় আপনি একটু অপেক্ষা করেন আমরা একটি পণ্য নিয়ে আসছি নিউ গুলশান থেকে।
পরে নিউ গুলশান থেকে সেইম মডেলের হেয়ার ড্রাই আনা হলে প্রোপাইটার (অ) পণ্য দেখে অবাক হয়ে বলেন,আমার তো এই পণ্য কেনা আসে ১২০০ টাকার উপরে।তিনি তখন তার কম্পিউটারের ডেস্কটপে আমাদের কে কেনা দাম দেখালেন ১২০০ টাকার বেশি।প্রোপাইটার কে তখন ভুক্তভোগী পুলিশ সদস্য বলেন, আপনি ৭০০ টাকার পণ্য ১২০০ টাকা দিয়ে কিনবেন কেন???কোম্পানি কে এখনই ফোন দিয়ে কমপ্নেন করেন।
কোলকাতা বাজার শফিং সেন্টারের মালিক তখন পুলিশ সদস্য কে বলেন আমি কাল সকালেই কম্পানিকে ফোন দিয়ে জানাবো বিষয়টি আর সমস্যা নেই ভাই আপনার টাকা রিটার্ন দিচ্ছি।
ভুক্তভোগী প্রোপাইটারের কথার উত্তর দিয়ে বলেন,আমার টাকা ফেরৎ দেন আর না দেন তাতে কোন সমস্যা নেই।তবে সাতক্ষীরার জনগন এভাবে ঠকবে কেন?বাংলাদেশের কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ৭০০ টাকার জিনিষ ১৮৫০ টাকায় বিক্রি করে এটা আমি সর্বপ্রথম দেখলাম।
পরে ভুক্তভোগী পুলিশ এসআই বলেন আমি বিষয়টি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বিঞ্জ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার জনাব তহমিনা খাতুন স্যার কে আগামীকাল অভিযোগ আকারে জানাবো।
পরিশেষে সকল বিষয় বিশ্লেষন করে দেখা যায় কোলকাতা শফিং সেন্টার তারা এই বাড়তি টাকার দায়ভার নিতে চান না।তারা সোজা কোম্পানির উপর দায় দিতে চান।আর আমরা (ভুক্ত ভোগীরা) চাই,সাতক্ষীরার জনগন এতো বড় প্রতারণা থেকে রক্ষা পাক।বিষয়টি সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সাতক্ষীরা জেলার বিঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা প্রশাসক ও জেলার রির্টানিং অফিসার জনাব এস এম মোস্তফা কামাল মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।