শেখ আরিফুল ইসলাম(আশা): আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং জন সাধারণ যেন সুষ্ঠভাবে ভোটাধিকার প্রদান করতে পারে সেই লক্ষ্যে দিক-নিদের্শনা প্রদানের জন্য গতকাল ২৯ নভেম্বর ২০১৮ রোজ বৃহম্পতিবার সকালে সাতক্ষীরা পরিদর্শন করেছেন খুলনা রেঞ্জের এডিশনাল ডিআইজি জনাব জনাব এ কে এম নাহিদুল ইসলাম (অপারেশন্স এন্ড ক্রাইম) মহোদয়।
জেলা পুলিশের বিশেষ সূত্র জানায়,বৃহম্পতিবার সকালে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এসে ল্যান্ড করেন খুলনা রেঞ্জের এডিশনাল ডিআইজি জনাব এ কে এম নাহিদুল ইসলাম (অপারেশন্স এন্ড ক্রাইম)।এসময় তাঁকে ফুলের তোড়া দিয়ে উষ্ন্ঞ শুভেচ্ছা জানান,সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার জনাব মো:সাজ্জাদুর রহমান।পরে জেলা পুলিশের একদল চৌকশ পুলিশের ইউনিট এডিশনাল ডিআইজি মহোদয় কে গার্ড অফ অনার প্রদান করেন।পরে এডিশনাল ডিআইজি মহোদয় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সন্মেলন কক্ষে প্রধান অতিথি হিসাবে জেলার আটটি থানার ওসি দের নিয়ে সংক্ষিপ্ত নির্বাচনী ব্রিফিং প্রদান করেন।সংক্ষিপ্ত ব্রিফিং অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন জেলা পুলিশ সুপার জনাব মো:সাজ্জাদুর রহমান।
নির্বাচনী ব্রিফিংয়ে খুলনা রেঞ্জের এডিশনাল ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল এ কে এম নাহিদুল ইসলাম (অপারেশন্স এন্ড ক্রাইম) বলেন,গত দুই দিন আগে সাতক্ষীরায় খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি স্যার এসেছিলেন নির্বাচনী ব্রিফিং প্রদানের জন্য ও সাতক্ষীরার নির্বাচন পুর্ব প্রস্তুতি মনিটরিং করতে।
তিনি বলেন,আমি শুনেছি সাতক্ষীরা জেলা ২০১৩-১৪ সালে আগুন সন্ত্রাসীদের দখলে ছিলো।কিন্তু বর্তমানে পুলিশ,র্্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশের কড়া তৎপরতায় তারা পুরোপুরি নির্মুল না হলেও ঘাপটি মেরে আছেন আগুন সন্ত্রাসীর দল। আমি ঐ আগুন সন্ত্রাসীদের উদ্যেশ্যে বলতে চাই,আপনাদের লিস্ট পুলিশের কাছেই রয়েছে।আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে যদি কেউ কোন রকম নির্বাচন বানচাল করতে বিশৃংখলা করার চেষ্টা করেন, তাহলে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ আগুন সন্ত্রাসীদের কে দাঁত ভাঙা জবাব দেবে।
তিনি আরো বলেন, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলাকালে যদি কেউ ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ব্যালোট বাক্স ছিনতাই করার চেষ্টা করে, তাহলে পুলিশ সেই সন্ত্রাসীর হাত ভেঙে দেবে।
এডিশনাল ডিআইজি আরো বলেন তফসিল ঘোষনার পর থেকে পুলিশ এখন আর সরকারের অধীনে নেই।পুলিশ এখন নির্বাচন কমিশনের অধীনে।নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মোতাবেক অবাধ,সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ করে দেওয়াটাই পুলিশের প্রধান কাজ এখন।তিনি বলেন নির্বাচন চলাকালীন সময়ে ঐ এলাকায় বৈধ কাগজপত্র ছাড়া কোন যানবহণ রাস্তায় বের করা যাবেনা।নির্বাচন চলাকালীন সময়ে অবৈধ অস্ত্র ও মাদক বহণের ক্ষেত্রে পুলিশ সব সময় তৎপর থাকবে।বৈধ অস্ত্রের যেন কেউ অপব্যবহার না করতে পারে সেদিকে আমাদের পুলিশ অফিসারগণ সব সময় বৈধ অস্ত্রধারীদের কে অবজারভেশনে রাখবেন।তিনি আরো বলেন নির্বাচন চলাকালীন সময়ে মটর সাইকেলে দুই জনের বেশি তিন জন চড়তে পারবেনা,চালক ও আরোহী দুই জন কেই হেলমেট পরিধান করতে হবে।
তিনি আরো বলেন ২০১৩-১৪ সালের পুলিশ আর আজকের পুলিশ এক নয়।আজকের পুলিশ যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় সক্ষম।তিনি সাতক্ষীরার সর্ব স্থরের মানুষকে নির্বিঘ্নে ও নির্ভয়ে নির্ধারিত দিনে ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ভোট প্রদানের আহবান জানান।
নির্বাচনী ব্রিফিংয়ের সময় পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান সহ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সদ্য পদন্নোতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ ইলতুৎ মিশ, সদর সার্কেলের এডিশনাল এসপি মেরিনা আক্তার,কালিগজ্ঞ সার্কেলের এডিশনাল এসপি জামিরুল ইসলাম, তালা সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার অপু সারোয়ার,দেবহাটা সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার ইয়াছিন আলী,জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান,গোয়েন্দা পুলিশের ইনচার্জ আলী আহম্মেদ হাশেমী,জেলার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মোমিন হোসেন, সাতক্ষীরা থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি থানার ওসি বিপ্লব কুমার দেবনাথ,কলারোয়া থানার ওসি শেখ মারুফ আহম্মেদ,কালিগজ্ঞ থানার ওসি হাসান হাফিজুর রহমান,দেবহাটা থানার ওনি সৈয়দ মান্নান আলী সহ সকল থানার অফিসার ইনচার্জগণ উপস্থিত ছিলেন।