সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও জেলা রির্টানিং অফিসার এসএম মোস্তফা কামাল বলেছেন সাতক্ষীরার অতীত ইতিহাস আপনাদের জানা আছে,ইতিহাসের সাল ও জানা আছে, মাস ও জানা আছে।আপনারা জানেন ১৯৭১ সালের পরে বাংলাদেশে যে কয়টি জেলায় নারকীয় ঘটনা ঘটেছিল তার মধ্যে সাতক্ষীরার কয়েকটি উপজেলায় নারকীয় ঘটনা ঘটেছিল।আমি দুর থেকে টিভির সংবাদে দেখতাম এজেলায় রাস্তা খুড়ে মানুষের জন্য কবর খোড়া হয়েছে,গাছ কেটে রাস্তা বন্ধ করা হয়েছিল,অনেক মানুষ কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে,মানুষের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেওয়া হয়েছিল।আর সেটা হয়েছিল ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনের আগে।আবার সাতক্ষীরায় নাকি চাঁদে মানুষ দেখা গিয়েছিল ইত্যাদি বিভ্রান্তি ছড়িয়ে জেলার শান্তি প্রিয় মানুষ কে অশান্ত করার চেষ্টা চলেছিল।
তিনি বলেন ভোটের আর মাত্র ৯ দিন বাকী।অশুভ শক্তি তাই আবারো মাথা চাঁড়া দিয়ে উঠতে পারে।অশুভ শক্তি সুষ্ঠ নির্বাচন চায়না,তারা ভোটার কে ভয় দেখায়,তারা ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা কে ভয় দেখিয়ে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করে।তাদের কে আপনারা ভয় পাবেন না।একটা কথা সবাই মাথায় রাখবেন,সৃষ্টিকর্তা আমাদের জন্ম দিয়েছেন যখন তখন আমাদের একদিন না একদিন মরতেই হবে এটা যেমন চিরন্তন সত্য কথা ঠিক কাপুরুষ মরে বার বার,আর বীর পুরুষ মরে একবার।তাই কাউকে ভয় নয়।সকল ভয় কে জয় করে আপনাদের কে এগিয়ে যেতে হবে। আপনারা আরো মনে রাখবেন বাঙালীর সব চাইতে সফলতা ও বড় ইতিহাস মহান মুক্তি যুদ্ধ।যে যুদ্ধে আমাদের কয়েক লাখ মা বোন সন্মান হারিয়েছিল,যে যুদ্ধে আমাদের দেশের শতশত বুদ্ধিজীবী শহীদ হয়েছিল।কিন্তু আমরা ইতিহাস ভুলে যাই, আর ইতিহাস ভুলে যাই বলেই আমরা দেখেছি বার বার সেই পরাজিত শকুনেরা আমাদের সেই জাতীয় পতাকা কে খামছে ধরার চেষ্টা করে।তাই সবাই সাবধান।কোন প্রকার অশুভ শক্তির কাছে মাথা নত করবেন না।আমাদের পুলিশ বাহিনী, র্্যাব,বিজিবি,আনসার ভোটের আগে ও ভোটের পরে আপনাদের কে নজির বিহিন নিরাপর্ত্তার চাঁদরে ঢেকে রাখবেন।তিনি আরো বলেন কেন্দ্রে যদি কেউ কোন ভোটার কে ভোট দিকে চাপ প্রয়োগ করে,ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাকে ভয় ভীতি প্রদর্শণ করে তাহলে তাদের জন্য কঠিন প্রতিরোধ অপেক্ষা করছে।তারা এই ভুমিতেই নিশ্চিন্ন হয়ে যাবেন।তিনি বলেন,সাতক্ষীরা ৩০ শে ডিসেম্বর একটি অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যে নির্বাচন একটি মডেল নির্বাচন হিসাবে পরিচিতি লাভ করবে।
সকল ভোটার ও ভোট গ্রহণ কাজে নিয়োজিত সকল প্রিজাইডিং অফিসার,সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পলিং অফিসার দের নিচ্ছিদ্র নিরাপর্ত্তার নিশ্চয়তা প্রদান করে তিনি বলেন নির্বাচনের আগে থেকে নির্বাচনের পরেও পুলিশ,র্্যাব,সেনাবাহিনী, বিজিবি,আনসার সহ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গণ যথাযথ দায়িত্ব পালন করবেন।শুক্রবার সকালে সকালে তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার সরকারী মহিলাা কলেজে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথির ব্যক্তব্যে উপরোক্ত কথা গুলি বলেন।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার ও সহকারি রির্টানিং অফিসার তহমিনা খাতুনের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসাবে ব্যক্তব্য প্রদান করেন জেলা পুলিশ সুপার মো:সাজ্জাদুর রহমান।তিনি এসময় বলেন,সকল প্রকার বিতর্কের উদ্ধে থেকে শান্তিপূর্ন ভাবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।আপনারা নির্ভয়ে ভোট গ্রহনের দায়িত্ব পালন করবেন।কেউ ভোট শেষ না করা পর্যন্ত কেন্দ্র ত্যাগ করবেন না।আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী আপনাদের নিচ্ছিদ্র নিরাপর্ত্তার চাদরে ঢেকে রাখবে।অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকারের ডিডিএলজি উপসচিব শাহ্ আবদুল সাদী,মেজর মাহবুব,আনসার ভিডিপি,সহকারি কমিশনার (ভুমি) রনি আলম নূর সাতক্ষীরা থানার ইনচার্জ মো:মোস্তাফিজুর রহমান সহ জেলা প্রশাসন,র্্যাব ও আনসার ব্যাটালিয়ানের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।