লায়লা পারভীন সেঁজুতি। দৈনিক পত্রদূতের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক। সাতক্ষীরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সদস্য সচিব, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এবং বঙ্গবন্ধু পেশাভিত্তিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

বাবা বীরমুক্তিযোদ্ধা স ম আলাউদ্দিন। তিনি ছিলেন ১৯৭০ সালের পার্লামেন্টের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য। তিনি দৈনিক পত্রদূত পত্রিকার সম্পাদকও ছিলেন। ওই পত্রিকা অফিসেই কর্মরত অবস্থায় ১৯৯৬ সালের ১৯ জুন ঘাতকের গুলিতে তিনি প্রাণ হারান।

এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চেলের বিভিন্ন স্থানে তীব্র গণআন্দোলন গড়ে উঠে। সেই থেকে লায়লা পারভীন সেঁজুতির সংগ্রামী জীবন শুরু।

লায়লা পারভীন সেঁজুতি শুধু শিক্ষকতার মধ্যে নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখতে পারেননি। তাকে দায়িত্ব নিতে হয় পিতৃহারা ৬ ভাই বোনের একটি পরিবারের।

২০০২ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন সেঁজুতি। স্বামী এডভোকেট আবুল কালাম আজাদও একজন সংগ্রামী মানুষ।

বাবার রাজনৈতিক দর্শন বুকে ধারণ করেই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নাম লেখান সেঁজুতি। একাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চাইবেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে সেঁজুতি বলেন, আমার বাবা স ম আলাউদ্দিনের বৃহৎ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডই আমাকে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে রাজনীতিতে আসতে। বাবা সব সময় একটি জিনিস বোঝানোর চেষ্টা করতেন- একমাত্র রাজনীতির মাধ্যমেই সবচেয়ে বেশি মানুষকে সেবা দেওয়া সম্ভব।

তিনি বলেন, আমি আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় কর্মী। দলের জন্য-মানুষের জন্য কাজ করছি। দলের মনোনয়ন পেয়ে এমপি হতে পারলে এ কাজের গতি আরো বাড়াতে পারবো।

সাতক্ষীরা থেকে সংরক্ষিত নারী আসনে ডজনের অধিক প্রার্থীর মনোনয়ন চাওয়ার বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে উল্লেখ করে সেঁজুতি বলেন, যারা মনোনয়ন চাচ্ছেন তারা অবশ্যই যোগ্য। এতগুলো যোগ্যতা সম্পন্ন মানুষ একসাথে কাজ করলে আগামীতে সাতক্ষীরার নারী সমাজ মৌলবাদী অপশক্তিকে কার্যকরভাবে মোকাবেলা করতে পারবে।

সূত্র: পরিবর্ত্তন ডটকম।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন