মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন সাতক্ষীরা শহরবাসী। কয়েল জ্বালিয়ে,গুড নাইট কিংবা অল আউট, মশারি টানিয়ে নিস্তার পাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে দোকানপাট-বাসাবাড়ি সহ সব স্থানে। অভিযান পরিচালনা না করায় পৌর কর্তৃপক্ষের প্রতি ক্ষুব্ধ সাধারণ নাগরিকরা। বিশেষ করে নবজাতক শিশুদের ভয়ঙ্কর রোগ-বালাইয়ের আশঙ্কায় রয়েছেন মা-বাবার।

পৌর শহরের মুন্সিপাড়ার কলেজ রোডের বাসিন্দা জেলা হেল্থ এ্যাসিস্টেন্ট এ্যসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী হাসান তপু জানায়,
মশার উপদ্রব শুধু বসতঘর বা দোকানপাটে নয়,সন্ধার পরে গরমে কলেজ মোড়ের মাঠে ঘাসের উপরে আমি সহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ডায়েট কন্ট্রোল করার জন্য হাটাহাটি করি।কিন্তু হাটা অবস্থায় মশা হাতে, মুখে বা কপালে কামড়ে দিচ্ছে।কিন্তু এ বিষাক্ত মশা কামড়ানোর পরে দীর্ঘক্ষন যাবৎ হাত চুলকাচ্ছে ও ফুলে এ্যালার্জীর মত লাল হয়ে যাচ্ছে।কোন অবস্থাতেই মশার কামড় থেকে পরিত্রান পাওয়া যাচ্ছেনা।

মুনজিতপুর গ্রামের কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী হুমাাইরা আফরিন প্রতিবেদক কে বলেন পরীক্ষা চলছে পড়ার সময় গ্লোব জালিয়ে দিলে সাময়িক মশা নিয়ন্ত্রন থাকে তারপরে গ্লোব ফুরিয়ে গেলে আবারো উৎপাত মশার।এতে করে পড়ার মনোযোগ নষ্ট করে দিচ্ছে এই বিষাক্ত মশা। মশার উপদ্রবে পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটছে।এক নবজাতক শিশুর মা বলেন, ঘরে নবজাতক থাকায় কয়েলও জ্বালানো যাচ্ছে না। যে কারণে পুরো পরিবার পড়েছে বিপাকে।

আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে আসা রোকশানা আক্তার নামে এক নারী বলেন, তার সাত মাস বয়সী শিশুকে মশায় কামড় দিলে হাত ফুলে যায় এবং জ্বরে আক্রান্ত হয়। গত চার দিন ধরে জ্বর না কমায় ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়েছেন তিনি।

পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা জানান, দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা মশার উপদ্রবের মধ্যে থাকতে হচ্ছে তাদের। পৌরসভার পক্ষ থেকে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মেডিসিন কনসালটেন্ট জেলা সদর হাসপাতালের ডা.আসাদুজ্জামান প্রতিবেদক কে বলেন, মশার কামড়ে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, ফাইলেরিয়াসহ বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হয়। এছাড়া কয়েল অথবা অ্যারোসলও মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। তাই বাড়ির আঙ্গিনা অথবা শহরের ড্রেন পরিষ্কার রাখা অত্যন্ত জরুরি।

শহরবাসীকে মশার উপদ্রোব থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য খালের আসপাসের ঝোপ-ঝাড়ে,ডাস্টবিন সহ ড্রেনে মেশিনের সাহায্য কিটনাশক ছিটিয়ে মশার কামড়ের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য শহরবাসী   জেলা প্রশাসক ও   সাতক্ষীরা পৌর মেয়রের দৃষ্টি আর্কষন করেছেন।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন