তারিকুল ইসলাম তারিকঃ উত্তরণ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ পুলিশের আইকোন পুলিশ হেড কোয়াটার্সের ডিআইজি (প্রশাসন এন্ড ডিসিপ্লিন) জনাব হাবিবুর রহমান বিপিএম(বার), পিপিএম এঁর আজ শুভ জন্ম দিন।

মানু্ষ চিরকাল কেউ বেঁচে থাকেনা কিন্তু মানুষের রেখে যাওয়া ভালোকাজ গুলো বেঁচে থাকে স্মৃতি হয়ে হাজার হাজার বৎসর যাবৎ।ঠিক তেমনই একজন গুনী পুলিশ অফিসার বাংলাদেশ পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) প্রশাসন এন্ড ডিসিপ্লিন জনাব মো:হাবিবুর রহমান বিপিএম(বার),পিপিএম।

তিনি সত্যিকার অর্থে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বেড়ে ওঠা একজন মানবতাবাদী, সমস্যাসঙ্কুল সমাজের প্রতিটি শ্রেণী পেশার মানুষের অন্যতম নির্ভরযোগ্য স্থান, সরকার নিয়োজিত জনগণের সেবক, অবহেলিত ও নিষ্পেশিত বেদে জনগোষ্ঠীর আলোর দিশারী, সমাজের পিছিয়ে পড়া তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের রূপকার তিনি।পুলিশের বিভিন্ন দাবি-দাবা ও নতুন নতুন পদ সৃষ্টি নিয়ে তিনি প্রতিনিয়ত সরকারের কাছে উপস্থাপন করেন।

কাবাডি খেলাকে গ্রাম থেকে শহর আর শহর থেকে দেশের বাহির পর্যন্ত বিস্তৃত করে চলেছেন তিনি।সূত্র জানায়,

বিশ্বখ্যাত হেয়ার স্টাইলিস্ট জাবেদ হাবিব প্রতিষ্ঠিত ‘হাবিব ফাউন্ডেশন’ এবং ডিআইজি (প্রশাসন) হাবিবুর রহমানের প্রতিষ্ঠিত ‘উত্তরণ ফাউন্ডেশন’এর মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

সূত্র আরো জানায়, এই চুক্তির মাধ্যমে প্রতি বছর উত্তরণ ফাউন্ডেশন মনোনীত দুইজন তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) সদস্যকে ভারতে নিয়ে জাবেদ হাবিবের তত্ত্বাবধানে আন্তর্জাতিক মানের ‘হেয়ার ফ্যাশন’ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যারা এক সময় নিজেদেরকে আন্তর্জাতিক মানের হেয়ার এক্সপার্ট হিসেবে আবিষ্কার করতে সক্ষম হবেন।

প্রশিক্ষিত সদস্যগণ বাংলাদেশে বসবাসরত নিজেদের কমিউনিটির অন্যান্য সদস্যদেরকেও প্রশিক্ষণ দান করবেন এবং পরবর্তীতে এরাই উত্তরণ ফাউন্ডেশন পরিচালিত বিভিন্ন বিউটি পার্লার ও বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে জাবেদ হাবিব পরিচালিত সেলুনগুলো ছাড়াও অন্যান্য পার্লার বা সেলুনসমূহে হেয়ার এক্সপার্ট হিসেবে কাজ করার সুযোগ পাবেন।

চুক্তি স্বাক্ষর করেন হাবিব ফাউন্ডেশের কর্ণধার বিশ্বখ্যাত হেয়ার স্টাইলিস্ট জাবেদ হাবিব এবং উত্তরণ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান শায়ক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উত্তরণ ফাউন্ডেশনের সমন্বয়কারী এম এম মাহবুব হাসান, ফাউন্ডেশনের অ্যাডমিন অ্যান্ড এইচআর কনসালট্যান্ট এম সেলিম মোল্লা এবং তৃতীয় লিঙ্গের সদস্য অনন্যা ও নিসাতসহ প্রমূখ।

শুধু কাবাাডি খেলার সম্প্রসারণ ছাড়াও তিনি হিজড়া ও বেদে সম্প্রদায়ের লোকজনের মধ্যে আলো ছড়াচ্ছেন।সূত্র জানায়,ঢাকার আশুলিয়া, আমিনবাজার ও বি-বাড়িয়ায় হিজড়াদের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে তিনটি বিউটি পার্লার। এ পার্লারগুলো নতুনভাবে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখাচ্ছে হিজড়াদের। তাদের মূল পেশার (প্রতারণা, চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসা) বাইরে এনে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পাশাপাশি বেদে সম্প্রদায়ের জন্য বুটিকসহ নানা প্রতিষ্ঠানও গড়ে তোলা হয়েছে। তাদের সন্তানদের জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে শিক্ষালয়। মুন্সীগঞ্জে একটি স্কুলে বেদেদের সন্তানরা লেখাপড়া শিখছে।

বেদেপল্লীতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি এ সম্প্রদায়ের জন্য তৈরি হচ্ছে মিউজিয়াম। আর এসব মানবিক কাজে হাত দিয়েছেন পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি (প্রশাসন-ডিসিপ্লিন) হাবিবুর রহমান। তাঁর ব্যক্তিগত উদ্যোগে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ও এনজিও এগিয়ে আসছে।

ঢাকার অদূরে সাভারের বংশী নদীর তীরে পোড়াবাড়ি, অমরপুর, কাঞ্চনপুর ও বাড্ডা গ্রামে প্রায় দেড় শ বছর আগে বসতি গড়ে তোলেন বেদে সম্প্রদায়ের সদস্যরা। ওই পল্লীতে তাঁদের সদস্য এখন প্রায় ১৫ হাজারের মতো। আর ব্যতিক্রমী ও মানবিক পুলিশিংয়ের মাধ্যমে এ মানুষগুলোর জীবনযাত্রা পাল্টে দিয়েছেন ডিআইজি হাবিবুর রহমান। কিভাবে একটি জনপদ, একটি সম্প্রদায়কে পাল্টে দেওয়া যায় তা তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন। তাঁর মতো অন্যরাও যদি এগিয়ে আসেন তাহলে সমাজে অভাব-অনটন, হানাহানি থাকবে না বলে অনেকেই মনে করেন।

তাই পরিশেষে বলা যায় সমাজ বিনির্মাণের কারিগর ও একাধিক ভালো কাজের সমষ্টি ডিআইজি হাবিবুর রহমান।তাঁর মত স্মৃজনশীল ও কর্মবীর পুলিশ অফিসার এই সমাজে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার প্রয়োজন।জননেত্রীর দেশ গোপালগজ্ঞের চন্দ্রদিঘলিয়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত মোহাম্মাদ আলীর এক মাত্র ছেলে ডিআইজি হাবিব।আজ ২২ শে এপ্রিল রোজ সোমবার।এই দিনে তিনি জন্ম গ্রহণ করেছিলেন।আপডেট সাতক্ষীরা ডটকম পরিবারের পক্ষ থেকে এই সফল পুলিশ কর্মকর্তাকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও হৃদয় নিংড়ানো শুভ কামনা।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন