সিটিজেন জার্নালিষ্ট,সাতক্ষীরা:সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের শেষ কর্মদিবসে  শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলার সাবেক কিংবদন্তী জেলা জেলা প্রশাসক,ভিক্ষুক মুক্ত খুলনা বিভাগের রুপকার সাবেক বিভাগীয় কমিশনার ও নৌপরিবহন মন্ত্রনালয়ের সচিব জনাব মো: আবদুস সামাদ। রবিবার সকালে নৌপরিবহন সচিব মো:আবদুস সামাদ তাঁর কার্যালয়ে গিয়ে বিদায়ী সংবর্ধনা জানান।বিদায়ী সংবর্ধনা জানানোর পর নৌসচিব আবদুস সামাদ তাঁর ব্যক্তিগত ফেইজবুক আইডিতে হৃদয়ছোয়া আবেগ দিয়ে একটি স্টাটাস দিয়েছেন সাবেক সফল মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম কে নিয়ে। তিনি তাঁর স্টাটাসে লিখেছেন….

“শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় জনাব মোহাম্মদ শফিউল আলম, মন্ত্রিপরিষদ সচিব স্যারকে শুভেচ্ছা। অসাধারণ সৎ,ধার্মিক ও উচ্চমাপের একজন মানুষের সাথে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি।মহান আল্লাহ পাঁক তাঁকে ও পরিবারকে ভাল রাখুন”।

প্রাসংঙ্গত:সুদীর্ঘ ৩৬ বছরের বর্ণাঢ্য কর্মজীবন শেষে আজ অবসরে যাচ্ছেন তিনি। ১৯৮৩ সালের ২৭ আক্টোবর তিনি সহ আরও ৫৫ জন একসাথে যোগদান করেন সরকারি চাকুরিতে। বিভিন্ন চড়াই-উৎরাই কর্মমুখর জীবন শেষে আজ বিদায় নেবেন তিনি। তিনি বাংলাদেশের ২১তম মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

শফিউল আলম ১৯৫৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের রুমখা পালং গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ছৈয়দ হোসাইন ও মাতার নাম আলমাছ খাতুন।

তিনি ১৯৭৫ সালে স্থানীয় পালং মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক, জগন্নাথ কলেজ থেকে ১৯৭৭ সালে উচ্চ মাধ্যমিক ও ১৯৭৯ সালে ওমরগণি এমইএস কলেজ থেকে বিএ ডিগ্রি অর্জন করেন।

১৯৮১ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৯০ সালে তিনি চট্টগ্রাম বঙ্গবন্ধু ‘ল’ টেম্পল থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়াও ১৯৯৪ সালে ইংল্যান্ডের বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘উন্নয়ন প্রশাসন’ বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

পুরো কর্মজীবনে তিনি বিভিন্ন সময় গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সালের ২৯ অক্টোবর থেকে তিনি বাংলাদেশের ২১তম মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৩ অক্টোবর ২০১৯ থেকে ৩ বছরের জন্য বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

নিজের কর্মদিবসের স্মৃতিচারণ করে শেষদিনে আজ তিনি আপ্লুত, ভারাক্রান্ত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তিনি একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। যেখানে তিনি লিখেছেন: বিসিএস প্রথম ব্যাচের সদস্য হিসেবে হাজার ১৯৮৩ সালের ২৭ অক্টোবর আমরা ৫৫ জন কোটায় সরাসরি যোগদান করি। আজ ৩৬ বছর পূর্ণ হল। দীর্ঘ ৩৬ বছর পর বহু চড়াই-উতরাই পার হয়ে সিভিল সার্ভিসকে বিদায় জানাচ্ছি। মনটা বড়ই বিষণ্ণ। অনেক স্মৃতি অনেক ধৃতি। অনেককে হারিয়েছি। কত কিছুই করার ছিলো করতে পারিনি। অম্লমধুর অভিজ্ঞতা নিয়ে বিদায় নিচ্ছি। ভালোয় ভালোয় শেষ করার জন্য আল্লাহর কাছে অশেষ শুকরিয়া। তার সাথে আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও সহযোগী সহকর্মীদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা। চলার পথে আমার কথা-কর্ম বা আচরণে কেউ আঘাত পেয়ে থাকলে আমাকে নিজ গুণে ক্ষমা করবেন। মহান আল্লাহ আপনাদের সবার প্রতি সহায় হোন আজকের দিনে এই কামনা।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন