১৪ টি হারানো মোবাইল উদ্ধার করে প্রকৃত মালিক কে ফিরিয়ে দিয়ে এবং দুইজনকে বিকাশের টাকা হস্তান্তর করে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের উপর আস্থা ফিরেছে সাধারন জনগনের।সোমবার সকালে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে ডেকে হারানো মোবাইলের প্রকৃত মালিক দের কাছে মোবাইল হস্তান্তর করেন সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম (বার) ।
মো: আব্দুস সাত্তার, তার গ্রাম চৌবাড়িয়া গ্রামে।তার একটি হুয়াই মোবাইল হারিয়ে গেলে সে সাতক্ষীরা থানায় একটি জিডি করেন। যার জিডি নং ১২৪ তাং ০২/১০/২০২৯ তারিখ।উক্ত জিডির সূত্র ধরে সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা সালাহ্উদ্দিন তথ্য প্রুক্তি ব্যবহার করে তার সেই হারানো মোবাইল টি উদ্ধার করে আজ প্রকৃত মালিক মো:আব্দুস সাত্তার ডেকে পুলিশ সুপারের মাধ্যমে ফোন টি ফিরিয়ে দেন।
ঠিক একই ভাবে কালিগঞ্জের আয়শা খাতুন,বিহারি নগরের আবদুল্লাহ গাজী,দেবহাটার সঞ্জিত সরকার,মাটিয়া ডাঙ্গার ফয়লাল আহম্মেদ,কালিগজ্ঞের মনিরুল ইসলাম(তার পক্ষে মোবাইলটি নেন তার শ্বাশুড়ি শাহিদা খাতুন), যশোর বাঘার পাড়ার রাজিব হোসেন খান,কাশেম পুরের সাগর হোসেন,কালিগঞ্জের মনিরুল(পক্ষে নেন মামা শ্বশুর কবির) কে তার হারানো মোবাইলটি উদ্ধার করে ফিরিয়ে দেন পুলিশ সুপার।এসময় বিকাশে প্রতারণা করা টাকা দুই জনের কাছে ফেরৎ দেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম (বার)।
এছাড়া গতমাসের জেলা পুলিশের মাসিক সভা শেষে সাতক্ষীরা থানার ডিজি নং ১২৪,০২/১০/১৯ মোতাবেক গদাঘাটা গ্রামের পরিমল সরকার,সাতক্ষীরা থানার জিডি নং ১৯৪, তাং ০৩/১০/১৯ মোতাবেক কাটিয়ার মোহাম্মদ আলী,সাতক্ষীরা থানার জিডি নং ১৫৩৫ তাং ২৬/১০/১৯ মোতাবেক রাম গোবিন্দপুরের মনিরুল, সাতক্ষীরা থানার ডিজি নং ৩৩২ তাং ৬/৭/২০১৯ মোতাবেক আলিপুরের ফিরোজ হাসান, সাতক্ষীরা থানার জিডি নং
১৫৩২ তাং ২৮/০৬/১৯ মোতাবেক শ্যামনগরের মোস্তফা, সাতক্ষীরা থানার জিজি নং ৬৪৭ তাং ১১/৭/১৯ মোতাবেক কয়রার আজিজুক হক কে তার হারিয়ে যাওয়া ফোন গুলো তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে উদ্ধার করে উপরোক্ত মালিক দের কাছে হস্তান্তর করেন।
একাধিক সূত্র জানায় সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম (বার) যোগদানের পর থেকে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশে লেগেছে নতুন ছোয়া।পুলিশ সুপারের দিক নির্দেশনায় সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও পদন্নোতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইলতুৎ মিশ এঁর নেতৃত্বে সাতক্ষীরা জেলার প্রত্যেকটি থানার ডিউটি অফিসারের কক্ষে টানানো হয়েছে সতর্কতা মুলক বিঞ্জপ্তি।সেখানে লেখা আছে থানায় জিডি/মামলা করতে কোন টাকা লাগবেনা। বিঞ্জপ্তিতে আরো লেখা আছে থানায় কোন ব্যক্তি কাঙ্খিত সেবা না পেলে বা হয়রানির শিকার হলে কতৃপক্ষের মোবাইল নাম্বারে ফোন দিবেন(বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ সুপার,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার,সদর সার্কেল,কালিগজ্ঞ সার্কেল, দেবহাটা সার্কেল ও তালা সার্কেলের মোবাইল দেওয়া আছে।যার ফলে মানুষ এখন বুক ফুলিয়ে থানায় যাচ্ছেন এবং কাঙ্খবত সেবা নিয়ে চলে আসছেন।
শুধু পুলিশিং সেবা বলে কথা নয় সাতক্ষীরার মানবিক পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম (বার)সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোন অসুস্থ রোগীর সাহায্যের আবেদন,কোন মেধাবী শিক্ষার্থীর পড়াশুনার খরচ দরকার ইত্যাদি পোষ্ট গুলো দেখলে দ্রুত তাদের কে নিজ কার্যালয়ে ডেকে আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন।
অপরাধ দমনেও পিছেয়ে নেই সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম (বার)।জেলা পুলিশ মাদক-জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনে নিরালস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।এছাড়া সড়কে শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে ও সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ বাস্তবায়নের লক্ষে গত ২৫ নভেম্বর থেকে ০১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাতক্ষীরা ট্রাফিক বিভাগ জেলা ব্যাপী সচেতনতা মুলক প্রচারণা চালিয়েছেন।
এছাড়া সম্প্রতি কালিগঞ্জে বিকাশের ছিনতাই হওয়া ২৬ লক্ষ টাকার মামলায় দুই আসামির ক্রস ফায়ার সহ ছিনতাই এ ব্যবহৃত বিদেশি পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান দেশ ব্যাপী প্রশংসা অর্জন করেছেন।