নিজের অপকর্ম ঢাকতে যুদ্ধাপরাধী মামলার আসামী কতৃক মহিলা আ’লীগ নেত্রীর মানহানী করে মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত জনাকীর্ন সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন সাতক্ষীরা জেলা মহিলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক
ও সুলতানপুর এলাকার মৃত.ফজলুল কাদের খোকন এর স্ত্রী রওশন আরা রুবি। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন সম্প্রতি ফিংড়ী ইউনিয়নের মৃত. গোলাম সরোয়ারের পুত্র কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী সাইফুল্লাহ কৌশলে ৯৮নং শিমুলবাড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমিদাতা সদস্য মনোনীত হয়। যা গত ৪ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে দৈনিক দৃষ্টিপাত পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এবিষয়ে অবগত হয়ে সাইফুল্লাহর বিরুদ্ধে হওয়া যুদ্ধাপরাধ মামলার বাদী নজরুল ইসলাম হতবাক হয়ে পড়েন। সে কারণে তিনি গত ০৩ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে ৭১ এর যুদ্ধের অপরাধী মামলার আসামীর তথ্য উত্থাপন করে সংবাদ সম্মেলন করেন। এঘটনায় আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। অথচ ওই যুদ্ধাপরাধী সাইফুল্লাহ আমার বিরুদ্ধে নোংড়ামী করে গত ৪/১২/২০১৯ তারিখে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে মিথ্যা, কাল্পনিক তথ্য উপস্থাপন করে সংবাদ সম্মেলন করে। এছাড়াও আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও চরম মিথ্যাচার করেছে ঐ সাইফুল্লাহ। আমার স্বামী ফজলুল কাদের চৌধুরী বিগত ২০০২ সালে মৃত্যুবরণ করেন। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে তার নামীয় সম্পত্তি তারা জোরপূর্বক ভোগ দখল করে আসছে। তাদের ওইসব অবৈধ দখল বজায় রাখতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা জমি দখলের অভিযোগ করা হয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে সাইফুল্লাহসহ ৯ জন যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেন। উক্ত মামলার ১নং আসামী বর্তমানে কারাগারে আছেন। অনেক যুদ্ধাপরাধী মারাও গেছেন। সাইফুল্লাহ ওই মামলার ২নং আসামী। সাইফুল্লাহর নেতৃত্বে যুদ্ধের সময় নজরুল ইসলামের পিতা রুস্তম আলীকে হত্যা করা হয়েছিল। যা নজরুল স্বচোক্ষে দেখেছিলো বলে মামলার বিবরণে জানাযায়। তার মামলা নং- জি আর ৩২৭,বর্তমানে মামলাটি আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন রয়েছে। যার ধার্য্য তাং- আগামী ২০২০ সালের ১৪ জানুয়ারি। সাইফুল্লাহ গংয়ের কারণে যুদ্ধাপরাধ মামলার বাদী নজরুল ইসলাম পরিবার নিয়ে জীবনের ভয়ে ভিটেবাড়ি ছাড়া হয়ে যশোরের মানবেতর জীবন যাপন করছে বলে সংবাদ সম্মেলন জানান। কিন্তু বর্তমান সময়ে সাইফুল্লাহ কৌশলে জমিদাতা হবেন এটি মেনে নিতে না পেরে এবং তার শাস্তির দাবিতে উক্ত সংবাদ সম্মেলন করেন নজরুল ইসলাম। ওই সংবাদ সম্মেলনের সাথে আমি কোনভাবেই জড়িত নই। আমি পরের দিন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হলে আমি জানতে পারলাম যে সাইফুল্লাহর যুদ্ধাপরাধ মামলার বাদী নজরুলের সাথে কোন আপোষ মিমাংসা হয়নি এবং সাইফুল্লাহ একজন কুখ্যাত রাজাকার। অথচ সাইফুল্লাহ আমার চরিত্র এবং আমার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অবান্তর মন্তব্য করে মিথ্যা ভিত্তিহীন সংবাদ সম্মেলন করেছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট। সাইফুল্লাহসহ তার পরিবারের লোকজনকে অত্র এলাকার মানুষ চরিত্রহীন হিসেবে জানে। সে তার এবং তার পরিবারের সদস্যদের অপকর্ম ঢাকতে অন্যের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছে। এ যেন উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপানোর মত।
আমার পিতা আলহাজ্ব আব্দুর রশিদ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের মানুষ। অথচ তাকে জামায়াত বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এছাড়া আমার মরহুম শ্বশুরের বিরুদ্ধেও মিথ্যাচার করে কাল্পনিক, বানোয়াট বক্তব্য প্রদান করেছে ওই সাইফুল্লাহ। সে নিজের বিরুদ্ধে অভিযোগ ঢাকতে আমার পিতা-শ্বশুর এবং আমার বিরুদ্ধে নোংড়া কথাবার্তা ছড়িয়ে আমাকে সামাজিক এবং রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করেছে। এতে আমার সম্মানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যা মানহানি করার শামিল। আমি কোন তথ্য প্রমান ছাড়াই আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটনাকারী যুদ্ধাপরাধী সাইফুল্লাহর বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ,মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ,সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।