আলতাফ হোসেন বাবু : ৭ই ডিসেম্বর সাতক্ষীরা মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে সাতক্ষীরা পাকহানাদার মুক্ত হয়। গৌরব ও অহংকারের এই দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সাতক্ষীরার যৌথ উদ্যোগে সাতক্ষীরায় বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে (পাকাপুল) জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরা মুক্ত দিবসের শুভ সুচনা করা হয়। পৌনে ১১টায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয় থেকে বিশাল একটি বর্ণাঢ্য র্যালি শুরু করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। ১১টা ১৫ মিনিটে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। এর পর শহীদ আব্দুর রাজ্জাক এর মাজার জিয়ারত করা হয়।
সাড়ে ১১টায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে (পাকাপুল) সাতক্ষীরা মুক্ত দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) এসএম মোস্তফা কামাল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাউদ্দীন, সাবেক জেলা কমান্ডার মাহমুদ হাসান লাকী, সাবেক জেলা কমান্ডার মশিউর রহমান মশু, শ্যামনগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার দেবী রঞ্জন মন্ডল, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি আবু রায়হান তিতু, সদস্য সচিব লায়লা পারভিন সেঁজুতি প্রমুখ।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তালা-কলারোয়ার সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জি: শেখ মুজিবুর রহমান, সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার হাসানুল ইসলাম, সাবেক কমান্ডার হাসানুজ্জামান, আশাশুনি উপজেলার সাবেক কমান্ডার আব্দুল হান্নান, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেবাশীষ চৌধুরী।