থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে ভারত থেকে বেনাপোল ও সাতক্ষীরার সীমান্ত দিয়ে জুসের প্যাকেট ও বোতলে পাচার হয়ে খুলনায় ঢুকছে মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিলের চালান।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) খুলনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের গোয়েন্দা শাখার টিম নগরীর ইসলামপুর রোডে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন জুসের বোতলে করে খুলনায় ফেনসিডিল আসার চালানটি আটক করে।
এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে গৌতম কুমার শীল (৪৬) নামে এক ব্যক্তিকে। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ছোট-বড় ১২টি জুসের প্যাকেটে আনা ফেন্সিডিল। তবে অভিযানের খবর পেয়ে পালিয়ে গেছেন আরেক অভিযুক্ত পরাগ চৌধুরী (৪৪)।
এদিকে, থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে খুলনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মাদকবিরোধী অভিযান জোরদার ও অধিকতর সতর্কতা অবলম্বনে সহকারী পরিচালক মো. মিজানুর রহমানকে আহ্বায়ক করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট মাদকবিরোধী অভিযানের বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে।
খুলনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ সূত্রমতে, সংস্থার উপপরিচালক মো. রাশেদুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক পারভীন আক্তারের নেতৃত্বে একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার দুপুরে নগরীর ইসলামপুরে রোডে অভিযান চালিয়ে আটক করে গৌতম কুমার শীল নামে আরেক ব্যক্তিকে। তার বাসায় তল্লাশি চালিয়ে খাটের নিচ থেকে প্লাস্টিক জুসের ১২টি ছোট-বড় বোতলের মধ্যে ফেন্সিডিল পাওয়া যায়। যার পরিমাণ ৬ লিটার।
গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক পারভীন আক্তার বলেন, অভিনব পন্থায় থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে মাদক চোরাকারবারীরা মাদকের চালান খুলনায় নিয়ে আসছে, গোপন সূত্রে এমন তথ্যের ভিত্তিতে ওই বাড়িতে অভিযান চালানো হয়।
তিনি বলেন, আটক গৌতম কুমার শীল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায় এই চালানটি পরাগ চৌধুরী নিয়ে আসে। তার এখান থেকেই জুসের বোতলে করে ফেন্সিডিল বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দেওয়া হয়। অপর আসামি পলাতক পরাগ চৌধুরীকে এর আগে ২০১৭ সালে মাদকসহ একবার আটক করা হয়েছিল।
এ বিষয়ে খুলনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন পন্থায় মাদকের চালান খুলনায় ঢুকছে। থার্টিফার্স্ট নাইটকে সামনে রেখে তার দপ্তর থেকে মাদকবিরোধী অভিযানের বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়া ৩১ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত লাইসেন্সকৃত বার ক্লাব, দেশি মদের দোকান বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে বিশেষ টিম নগরীর গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সতর্কতামূলক অবস্থানে থাকা ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বিশেষ টিম বিভিন্ন জায়গায় অভিযান অব্যাহত রেখেছে।