সাতক্ষীরা গোয়েন্দা পুলিশ পৃথক তিনটি অভিযান চালিয়ে এক নলা বন্দুক,২০০ গ্রাম গাঁজা ও ২২ পিস ইয়াবা সহ ৩ জন কে আটক করেছে।
আটককৃত আসামির নাম ১। শরীফুল ইসলাম মিঠু (৩০) । সে শ্যামনগর উপজেলার সামছুর গাজীর ছেলে।২। আলমগীর হোসেন (৩৫) ও নাজিম গাজী (২৮)।
সাতক্ষীরা গোয়েন্দা পুলিশের বিশ্বস্ত সূত্র জানায় সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম বার এঁর দিক নির্দেশনা মোতাবেক সাতক্ষীরা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোঃমহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে ডিবির পরিদর্শক ইন্সপেক্টর বাবুল আক্তার, ডিবির পরিদর্শক জহুরুল ইসলাম, ডিবির সেকেন্ড অফিসার হাফিজ, এসআই ফরিদ, এএসআই ফজলুল কবির, এএসআই জসিম উদ্দিন, কনস্টেবল রফিকুল, কনস্টেবল সিরাজ ও সঙ্গীয় ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শ্যামনগের হেলাতলায় মামুনের মৎস ঘেরে অভিযান চালিয়ে শরীফুল ইসলাম মিঠু (৩০) কে একটি দেশিয় একনলা বন্দুুুক সহ হাতে নাতে আটক করতে সক্ষম হয়।
সাতক্ষীরা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ মোঃমহিদুল ইসলাম সোমবার বেলা ১১ টার দিকে ডিবি কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।প্রেস বিফিংয়ে আরো জানানো হয় আটকৃত আসামি একজন অস্ত্র মেকার। সে লোহার পাইপ ও আনুষাঙ্গিক জিনিষ পত্র দিয়ে দেশি অস্ত্র তৈরি করতে পারে। এবিষয়ে শ্যামনগর থানায় বাদি হয়ে ডিবির এসআই ফরিদ একটি অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেছে।
সাতক্ষীরা গোয়েন্দা পুলিশের অপর একটি টিমের চৌকস অফিসার এসআই হাফিজ, এসআই মনিরুল, এসআই মোস্তফা আলম ও সঙ্গীয় ফোর্স রবিবার রাত ১১ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সদর উপজেলার মধুমল্লার ডাঙী অভিযান চালিয়ে আলমগীর হোসেন (৩৫) পিতা-আব্দুল বারি কে তার বাড়ি থেকে ২০০ গ্রাম গাঁজা সহ আটক করতে সক্ষম হয় ডিবি পুলিশ।
পরে একই দিন রাত ১০ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবির এসআই হাফিজ, এসআই মনিরুল, এসআই মোস্তফা আলম,এএসআই নুর আজম,এএসআই রাশেদুজ্জামান, কনস্টেবল সিরাজ, কনস্টেবল তোফায়েল ও সঙ্গীয় ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের ইটাগাছার পঞ্চিম পাড়ায় অভিযান চালিয়ে নাজিম গাজী (২৮) , পিতা -রমজান আলী, গ্রাম- ইটাগাছা কে ২২ পিস ইয়াবা সহ আটক করতে সক্ষম হয় ডিবি পুলিশ।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে সাতক্ষীরা ডিবির ওসি মহিদুল ইসলাম এক প্রেস বিফিংয়ের মাধ্যমে জানান, আটককৃতদের নামে শ্যামনগর থানা ও সাতক্ষীরা সদর থানায় ডিবি পুলিশ বাদি হয়ে মামলা রুজু করেছে। আটককৃতদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হবে।