সিটিজেন জার্নালিস্ট, সাতক্ষীরা: খুলনা রেঞ্জ পুলিশের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় রেঞ্জের দশটি জেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ চৌকস এএসআই নির্বাচিত হয়েছেন সাতক্ষীরা থানার সহকারী সাব-ইন্সপেক্টর শাহানুর আলম। বৃহম্পতিবার সকালে খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের সন্মেলন কক্ষে  খুলনা রেঞ্জ পুলিশের জানুয়ারি ২০২০ মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত অপরাধ পর্যালোচনা সভার সন্মানিত সভাপতি ও খুলনা রেঞ্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল ডিআইজি ড.খন্দকার মহিদ উদ্দিন বিপিএম (বার) দশটি জেলার অপরাধ চিত্র পর্যালোচনা পুর্বক রেঞ্জের মধ্যে রেকর্ড ব্রেক পরিমান গাঁজা -ইয়াবা-ফেন্সিডিল ও সাজা প্রাপ্ত আসামি আটক করে  ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ সাতক্ষীরা সদর থানার সহকারী সাব-ইন্সপেক্টর শাহানুর আলম কে রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ চৌকস এএসআই সন্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন।

যেটি সাতক্ষীরার ইতিহাসে এটিই প্রথম পাওয়া। সাতক্ষীরা জেলা থেকে ইতিপুর্বে কোন এএসআই রেঞ্জ শ্রেষ্ঠ হতে পারেন নি বলে একাধিক সুত্র জানায়।         

           

অপর দিকে  অপরাধ দমনে বিশেষ অবদান রাখায় খুলনা রেজ্ঞের দশটি জেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ চৌকস সার্কেল নির্বাচিত হয়েছেন সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা সালাহ্উদ্দিন।বৃহম্পতিবার সকালে খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের সন্মেলন কক্ষে খুলনা রেঞ্জ পুলিশের জানুয়ারি ২০২০ মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি ড.খন্দকার মহিদ উদ্দিন বিপিএম (বার)  রেঞ্জের দশটি জেলার অপরাধ চিত্র পর্যালোচনা পুর্বক রেঞ্জের মধ্যে রেকর্ড ব্রেক পরিমান মাদক উদ্ধার, অস্ত্র উদ্ধার,ক্লুলেস মাডার কেসের রহস্য উদঘাটন ও ২৫০ টির মত হারানো মোবাইল উদ্ধার করে প্রকৃত মালিক কে ফিরিয়ে দেওয়ার মত ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা সালা্হউদ্দিন কে রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ চৌকস সার্কেল হিসাবে সন্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন।

অপরদিকে রেঞ্জের দশটি জেলার মধ্যে রেকর্ড ব্রেক পরিমান মাদক উদ্ধার,অস্ত্র উদ্ধার,সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার,চাঞ্চল্যকর মামলার আসামি দ্রুত গ্রেপ্তার,মাদক ব্যবসায়ী আটক করে খুলনা রেঞ্জের দশটি জেলার মধ্যে সাতক্ষীরা থানার সাব-ইন্সপেক্টর নূর আলম খুলনা রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ চৌকস এসআই হিসাবে সন্মাননা ক্রেস্ট পেয়েছেন রেঞ্জ ডিআইজি ড.খন্দকার মহিদ উদ্দিন পিপিএম (বার) নিকট থেকে।

খুলনা রেঞ্জ অফিসের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ অবদান রাখায় রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ চৌকস অফিসার ইনচার্জ নির্বাচিত হয়েছেন যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি মোঃ মনিরুজ্জামান।আজ কের অপরাধ সভায় রেঞ্জ ডিআইজি তাকে রেঞ্জ পুলিশের শ্রেষ্ট চৌকস ওসির সন্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন।

তাছাড়া খুলনা রেঞ্জের দশটি জেলার মধ্যে তদন্তাধীন মামলা নিষ্পত্তি করে রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ চৌকস জেলা পুলিশ নির্বাচিত হয়েছেন খুলনা জেলা পুলিশ।খুলনা জেলা পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ বিপিএম রেঞ্জ ডিআইজির নিকট থেকে শ্রেষ্ঠ চৌকস জেলা পুলিশের সন্মাননা ক্রেস্ট গ্রহণ করেন। অপরাধীদের কাছে বড় আতঙ্কের একটি নাম এসপি শফিউল্লাহ বিপিএম।

তিনি খুলনায় পুলিশ সুপার হিসাবে যোগদানের মাত্র ১ বৎসরের মধ্যে খুলনা জেলা কে মাদক-জঙ্গী ও সন্ত্রাস মুক্ত জেলা হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছেন।খুলনায় সম্প্রতি যে কয়টি চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস হত্যা মামলা,ডাকাতি,ধর্ষণ মামলা হয়েছিলন তার সব কয়টি মামলার রহস্য উদঘাটন করে আসামি দের আইনের কাঠগড়ায় দাড় করিয়েছিলেন রেঞ্জসেরা এই পুলিশ সুপার।

এছাড়া খুলনা রেঞ্জ পুলিশের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ওয়ারেন্ট নিষ্পত্তি তে রেঞ্জের দশটি জেলার মধ্যে নড়াইল জেলা পুলিশ শ্রেষ্ঠ স্থান অধিকার করেছেন।নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার) রেঞ্জ ডিআইজির নিকট থেকে সন্মাননা ক্রেস্ট গ্রহণ করেন।

খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি ড.খন্দকার মহিদ উদ্দিন বিপিএম (বার) এঁর সভাপতিত্বে অপরাধ পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন খুলনা রেঞ্জের এডিশনাল ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (প্রশাসন এন্ড ফিন্যান্স) মোঃ হাবিবুর রহমান বিপিএম,অতিরিক্ত ডিআইজি (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) একেএম নাহিদুল ইসলাম, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের পুলিশ সুপার (ডিসিপ্লিন এন্ড প্রসিকিউশান) খন্দকার অহিদুল করিম,রেঞ্জ অফিসের মিডিয়া সেলের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরফুদ্দীন সহ খুলনা রেঞ্জের দশ জেলার পুলিশ সুপার উক্ত অপরাধ পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন