জঙ্গি নির্মূলে পুলিশের সক্ষমতা অনেক অনেকগুণ বেড়েছে বলে দাবি করেছেন মহাপুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতার উল্লেখ করার মতো তেমন কোনো কার্যক্রম নেই। জঙ্গিদের কিছু দাওয়াতি কার্যক্রম রয়েছে। সেগুলো আমাদের নেটওয়ার্কে যখন চলে আসছে, সঙ্গে সঙ্গে আমরা ধরে ফেলছি এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। এটা অব্যাহত থাকবে।

সোমবার (৯ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে খুলনা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি এ কথা বলেন।

পুলিশ সুপারের কার্যালয়সহ বিভিন্ন স্থাপনার উদ্বোধন করতে সোমবার খুলনায় আসেন তিনি।

জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, গত দুই বছরে পুলিশের মধ্যে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে। গত দুই বছর প্রায় ১০ হাজার কনস্টেবল ও সাড়ে তিন হাজার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নিয়োগ করা হয়েছে। কারও কাছ থেকে একটি পয়সাও নেওয়া হয়নি। শুধু নিয়োগই নয়, পুলিশের পদোন্নতি ও বদলিসহ প্রতিটি জায়গায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিয়ে আসার চেষ্টা করছি।

আরেক প্রশ্নের উত্তরে আইজিপি বলেন, মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে সবধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানসহ সারা বছর যে সব অনুষ্ঠান হবে সেই অনুষ্ঠানের নিরাপত্তার জন্য পৃথক পৃথক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সুষ্ঠুভাবেই সব অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এর আগে কেক কেটে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন আইজিপি। অনুষ্ঠানে খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাহ উদ্দিন জুয়েল, খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ড.মুহাঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার,  খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি ড. খ মহিদ উদ্দিন, খুলনা মহানগর পুলিশের কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির,খুলনা পিটিসির কমান্ডেন্ট ডিআইজি আব্দুল কুদ্দুস আমিন,খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি প্রশাসন মোঃ হাবিবুর রহমান,অতিরিক্ত ডিআইজি (ক্রাইম)একেএম নাহিদুল ইসলাম,খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন, খুলনার পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ সহ খুলনা রেঞ্জ ও কেএমপির ঊর্ধতন কর্মকর্তাগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

পরে আইজিপি খুলনা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কম্পাউন্ডে বৃক্ষ রোপন করেন।

 





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন