কোয়ারেন্টিন এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার জন্য আজ বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) থেকে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে সাতক্ষীরার প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনী।

বুধবার শহরের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করে ইটাগাছা বাজার পরিদর্শন করে জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, শহরের অধিকাংশ বাজার ও দোকানগুলো সামাজিক দূরত্ব না রেখে বেচা-কেনা করছে। এতে করে ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে জেলার মানুষ।

বৃহস্পতিবার থেকে জেলার সব স্থানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং হোম কোয়ারেন্টিনের বিষয়টি কঠোরভাবে নিশ্চিত করা হবে। আইন অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখার কারণে শহরের কয়েকটি ফার্মেসি এবং ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হয়। রাতে শহরের ইটাগাছা হাটের দুটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে বেচা-বিক্রি করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইন্দ্রজিত সাহা ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা করেন।

অপরদিকে একই দিন  বিকাল বেলা কদমতলা সাতক্ষীরা তে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চলাকালে এক  বয়োবৃদ্ধ মানুষকে বাজারে ঘুরতে দেখে জেলা প্রশাসক তাকে  জিজ্ঞেস করেন  তিনি কেন বাইরে এসেছেন।এসময় বৃদ্ধ বলেন  বাড়ীতে কেউ নেই এবং তিনি নিতান্ত দরিদ্র ।এসময় জেলা প্রশাসক তাকে   ১০ কেজি চাল ৫ কেজি আলু ১ লিটার তেল ১ কেজি ডাল ১ কেজি লবন ১ টি সাবানের প্যাকেটের একটি ব্যাগসহ ভ্যানে তুলে দিয়ে বলেন  মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার জন্য এ উপহার  দিয়েছেন। ঘরের বাইরে বিনা প্রয়োজনে আসবেন না ।

একই দিন রাতে শহরের স্টেডিয়ামের ব্রিজ এলাকায় খেটে খাওয়া ভ্যা চালক, দিন মজুর দের মাঝে ১০ কেজি চাল ৫ কেজি আলু ১ লিটার তেল ১ কেজি ডাল ১ কেজি লবন ১ টি সাবানের প্যাকেটের একটি ব্যাগ তুলে দেন জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল। 

   

এদিকে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের ফেইবুক থেকে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে অহেতুক রাস্তাঘাটে দেখা গেলে, অপ্রয়োজনীয় দোকান খোলা রাখলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। আবারও বাসায় থাকার আহ্বান জানিয়েছেন সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম (বাার)। 

এদিকে আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) জানিয়েছে বৃহস্পতিবার থেকে সেনাবাহিনী দেশের সব স্থানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং হোম কোয়ারেন্টিনের বিষয়টি কঠোরভাবে নিশ্চিত করবে। সরকারের দেওয়া নির্দেশাবলী অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অন্যান্য দিনের মতো বুধবারও (১ এপ্রিল) সারাদেশে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর সদস্যরা করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সিভিল প্রশাসনকে সহায়তা করেছে এবং সচেতনতা তৈরিতে প্রচারণা চালিয়েছে।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন