পরকীয়া প্রেমিকা আসমাকে ভারতে খুন করে বাংলাদেশে ছদ্মবেশ ধারনকরা খুনি ড্রাইভার কাসেমকে ৫ মাস পর যশোর ডিবি’র একটি চৌকশদল ছদ্মবেশ ধারন করে ঢাকা পল্লবী থেকে প্রেফতার করলেন । জব্দ করা হয় ভিকটিমের মোবাইল ফোন ও আসামীর পাসপোর্ট।
ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ :
যশোর কোতয়ালী থানাধীন পুরাতন কসবা সাকিনের শাহানুর ইসলামের স্ত্রী আসমা ইসলাম এবং তার খালা মনোয়ারা বেগম (৫৫) গত ১৫/০১/২০২০ ইং তারিখে বেনাপোল বর্ডার দিয়ে ভারতের বনগাঁয়ে যায়। সেখানে একটি হোটেল ( শ্যামা প্রসাদ লজ) এ অবস্থান করে। ১৬/০১/২০২০ ইং তারিখে হোটেলের আরেকটি তালাবন্ধ কক্ষে আসমা ইসলামের মৃতদেহ পাওয়া যায়। এই সংক্রান্তে ভারতের উত্তর চব্বিশ পরগনার বনগাঁ থানা পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। ঘটনা সংক্রান্তে বনগাঁ থানার মামলা নং-৩৩ তাং-১৬/০১/২০২০ ইং ধারা-৩০২ পেনাল কোড রুজু হয়। ভিকটিম আসমা ইসলামের আত্মীয় স্বজন সংবাদ পেয়ে ভারতের বনগাঁ থানা থেকে কাগজপত্র সংগ্রহ করে ভিকটিমের ভাই আজিম উদ্দিন (৩২), পিতা- মৃত আজগর আলী, সাং- ডাকাতিয়া, থানা-কোতয়ালী, জেলা-যশোর হত্যাকান্ডের সাথে আসমা ইসলামের পরকীয়া প্রেমিক ড্রাইভার কাশেম আলীকে সন্ধিগ্ধ করে যশোর বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট, আমলী আদালতে গত ৩০/০১/২০২০ ইং একটি অভিযোগ দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত অভিযোগের বিষয়টি এফআইআর গ্রহনের জন্য আদেশ প্রদান করিলে যশোর কোতয়ালী মডেল থানার মামলা নং-০৯ তাং-০৫/০২/২০২০ ইং ধারা-৩৬৪/৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড রুজু করেন। মামলাটি গত ১৪/০৫/২০২০ ইং তারিখে পুলিশ সুপার, যশোর মহোদয় জেলা গোয়েন্দা শাখায় তদন্তের জন্য ন্যাস্ত করেন।
গ্রেফতার অভিযান :
পুলিশ সুপার, যশোর মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন পিপিএম এঁর তত্ত্বাবধানে ডিবি’র অফিসার ইনচার্জ মারুফ হাসানের সার্বিক দিক নির্দেশনায় ডিবি’র আইটি শাখার এসআই মফিজুল ইসলাম, পিপিএম তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামীর অবস্থান সনাক্ত করে ছদ্মবেশ ধারন করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি’র পুলিশ পরিদর্শক সোমেন দাস এর নেতৃত্বে এসআই মফিজুল ইসলাম, পিপিএমসহ একটি দল ৩০/০৫/২০২০ ইং রাত ০০.৩০ ঘটিকার সময় ঢাকা মিরপুর পল্লবী বাউনিয়াবাদ বস্তি বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ঘটনায় জড়িত আসামী কাশেম আলীকে গ্রেফতার করেন। এরপর তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক ভিকটিম আসমা ইসলামের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি ঢাকার মানিকনগর এলাকা হইতে উদ্ধার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদ ও হত্যার কারণ :
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ভিকমি আসমার সাথে ধৃত আসামী ড্রাইভার কাসেমের পরকীয়া প্রেম ও অবৈধ সম্পর্ক ছিল। যার প্রেক্ষিতে ২০১৩ সালে আসমাকে তার স্বামী শাহানুর তালাক দেয়। পুনরায় ভিকটিম আসমা তার স্বামী শাহানুরের সাথে ঘর সংসার করার সিদ্ধান্ত নিলে আসামী কাসেম তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে এবং এক পর্যায়ে ভারতে নিয়ে হোটেলে হত্যা করে।
উদ্ধারকৃত আলামত :
১। ভিকটিম আসমা ইসলামের ০১টি মোবাইল ফোন।
২। আসামীর ব্যবহৃত ০২টি মোবাইল ফোন।
৩। আসামী কাশেমের পাসপোর্ট-বিপি-০২৯১৮৯১.
আসামীর নাম ঠিকানা :
মোঃ আবুল কাশেম @ কাশেম মিয়া (৫১), পিতা- মৃত বশির মিয়া, সাং- পুরাতন কসবা ( গাজীরঘাট রোড), থানা-কোতয়ালী, জেলা-যশোর।