করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতিতে সীমিত পরিসরে অফিস খোলার মধ্যে উপস্থিতি ও কর্মঘণ্টা শিথিল করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
অফিসে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী আসবেন, আসার পর দুই ঘণ্টার মধ্যে কাজ শেষ করতে পারলে বাসায় চলে যাওযারও সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ জুন) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে এমন নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। এরপর বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এ নির্দেশনা জারি করেছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত নির্দেশনায় বলা হয়, কর্মকর্তারা যাতে কোনোভাবেই সংক্রমিত না হন সেজন্য ন্যূনতম সংখ্যক কর্মকর্তা নিয়ে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিসের প্রয়োজনীয় কাজ সম্পাদন করতে হবে।
এতে বলা হয়, একসঙ্গে ২৫ শতাংশের বেশি কর্মকর্তা অফিসে থাকবেন না। ২৫ শতাংশ কর্মকর্তা ঘরে বসে ভার্চ্যুয়ালি অফিস করতে পারবেন। অর্থাৎ একসঙ্গে ৫০ শতাংশ কর্মকর্তা সবসময়ই কানেকটেড থাকবেন। কোনো কর্মকর্তা কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবেন না।
সরকারি অফিস, ছবি: বাংলানিউজনির্দেশনায় বলা হয়, সকাল বেলায় অফিসে এসে কোনো কর্মকর্তা যদি দুই ঘণ্টায় কাজ শেষ করতে পারেন, তাহলে কাজ শেষেই তিনি চলে যেতে পারবেন। বিকেল ৫টায় অফিস ছুটির জন্য তাকে অপেক্ষা করতে হবে না। কেউ অফিস থেকে চলে গেলে ওই দপ্তরে তার জায়গায় অন্য কেউ অফিসে আসতে পারবেন।
করোনা ভাইরাসের কারণে ৬৬ দিনের ছুটি শেষে ৩১ মে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে সরকারি-বেসরকারি অফিস ও গণপরিবহন খুলে দেওয়ার পর এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়।
অফিস খোলার পরদিন সোমবার (১ জুন) জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, সচিবালয়ে যারা কাজ করেন, তারা যাতে সংক্রমিত না হন সেজন্য ২৫ শতাংশ লোকবল অফিস করবেন। বাকি ২৫ শতাংশ অনলাইনে বাসা থেকে কাজ করতে পারবেন। আর ৫০ শতাংশ রিজার্ভ রেখে তারাও এভাবে কাজ করবেন।
এর পরদিন জনপ্রশাসন থেকে পাঠানো নির্দেশনায় অফিসে উপস্থিত থাকার সময়ও শিথিল করে বলা হয়, সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অফিস থাকলেও সকালে এসে কাজ শেষ হলে দুই ঘণ্টাতেই চলে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
৩১ থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত সীমিত পরিসরে অফিস চালুর বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসনের নির্দেশনায় বলা হয়, সব সরকারি/আধাসরকারি/স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি অফিসগুলো নিজ ব্যবস্থাপনায় সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে। ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি, অসুস্থ কর্মচারী এবং সন্তান সম্ভবা নারীরা কর্মস্থলে উপস্থিত হওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
‘এক্ষেত্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণের জন্য স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে জারি করা ১৩ দফা (পরে সংশোধিত ১২ দফা) নির্দেশনা কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে। জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় ক্ষেত্র ব্যতীত সব সভা ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে আয়োজন করতে হবে। নিষেধাজ্ঞাকালে কেউ কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবেন না।’