ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, হলি আর্টিজান হামলার পর আমরা একের পর এক জঙ্গি আস্তানা গুড়িয়ে দিয়েছি। জঙ্গিদের সক্ষমতা যে পর্যায়ে ছিল সেটি এখন সর্বনিম্ন পর্যায়ে চলে এসেছে।
বুধবার সকাল ১০টায় গুলশান-২ এর হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহতদের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে জঙ্গি হামলায় ১৭ জন বিদেশিসহ নিহত হন মোট ২২ জন। তাদের মধ্যে ছিলেন দুজন পুলিশ কর্মকর্তা। জঙ্গিদের গুলি ও বোমায় আহত হন পুলিশের অনেকে। পরদিন অর্থাৎ ২ জুলাই সকালে সেনা কমান্ডোদের উদ্ধার অভিযানে পাঁচ জঙ্গি নিহত হন।
হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলা বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলা ছিল উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, হলি আর্টিজানে হামলার আজ তার চার বছর পূর্ণ হলো। আমরা এই জঙ্গি হামলায় নিহত আমাদের দুইজন সহকর্মী ও দেশি-বিদেশি নিহত নাগরিকদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছি। যারা সরাসরি এই ঘটনায় জড়িত ছিলেন তারা অভিযানে ঘটনাস্থলে নিহত হন। এই পুরা ঘটনার সাথে যারা জড়িত ছিলেন পরবর্তীতে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করি এবং সবারই সাজা হয়েছে। এর মধ্যে সাতজন আদালতে আপিল করেছেন। তবে এখন আপিলের শুনানি শুরু হয়নি।

ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, হলি আর্টিজানের ঘটনার পরে বাংলাদেশ পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়েছে। একইভাবে যারা জঙ্গিবাদে জড়িত তাদের সক্ষমতা সম্পর্কে আমাদের একটি পরিষ্কার ধারণা তৈরি হয়েছিল।

শফিকুল ইসলাম বলেন, করোনাকালে স্বাভাবিকভাবে মানুষ বাসায় বেশি থাকেন। তারা অনেকেই ধর্মীয় সাইটগুলোতে বেশি ভিজিট করছেন। এই সুযোগ নিয়ে জঙ্গিরা ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছে। এখন পর্যন্ত আমরা তাদের প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছি। কাউকে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করতে পেরেছে বা জঙ্গিবাদের কার্যক্রমকে পরিচালনার জন্য যে ধরণের সাংগঠনিক ব্যবস্থা প্রয়োজন সে ধরণের কোন সংগঠন আবার গড়ে তুলতে পেরেছে সেরকম কোন তথ্য আমাদের কাছে নাই।

জঙ্গিদের সক্ষমতা সর্বনিম্ন পর্যায়ে এমনটি জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ইমপ্রভাইসড বোমা বানানোর মত এক্সপার্ট এখন আর নাই। তারা কেউ জেলে আছেন অথবা বিভিন্ন অভিযানে নিহত হয়েছেন। তাদের ছোটখাটো সক্ষমতা থাকতে পারে কিন্তু বড় ধরণের কোন ঘটনা ঘটানোর সক্ষমতা নেই।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন