বলছিলাম, পাটকেলঘাটা থানার তৈলকুপি গ্রামের ফজর আলীর পুত্র শেখ আব্দুর রহমানের কথা। তিনি বিসিএস পাস না করেই বিভিন্ন অফিসার ও দপ্তর প্রধান দের স্বাক্ষর ও সিল নকল করে দীর্ঘদিন ধরে বড় বড় অপরাধ করে যাচ্ছিলো।ভোটার আইডি কার্ড তৈরি থেকে শুরু করে তিনি সরকারের উদ্ধর্ত্তন কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে নানা অপকর্ম করে আসছিলেন দীর্ঘদিন যাবৎ।কখনো তিনি সরকার দলের নেতা,কখনো তিনি মানববিধার কর্মী আবার কখনো তিনি কথিত সাংবাদিক আবার কখনো তিনি বিসিএস অফিসার পরিচয় দিয়ে সমাজের সকল মহলে দাপিয়ে বেড়ান।

প্রবাদ আছে, আম গাছে আম হয়। আম গাছে তো আর জাম হয় না। তাই প্রতারক আব্দুর রহমানের দুই পুত্র রায়হান হোসেন(২৫) ও আবু রানা(১৮) বড় হয়েছে তার পিতার আদর্শ নিয়ে। ছোট বেলা থেকেই প্রতারক পিতা আব্দুর রহমান তার দুই পুত্র কে শিখিয়েছেন কিভাবে সরকারি কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর ও সিল নকল করে অবৈধ ফায়দা আদায় করতে হয়। বেশ ভালোই চলছিলো তাদের প্রতারনার রমরমা ব্যবসা।

কিন্তু বেসরিক পুলিশ তাদের সেই রমরমা ব্যবসায় পানি তুলে দিলো।সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশ এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে জানান, পাটকেলঘাটা থানার একটি প্রতারণা মাললার সূত্র ধরে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম(বার) এঁর দিক নির্দেশনা মোতাবেক সাতক্ষীরা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(প্রশাসন) মো: আসাদুজ্জামানের তত্বাবধানে সাতক্ষীরা জেলা ডিবি পুলিশ ও পাটকেলঘাটা থানা পুলিশ বৃহম্পতিবার বেলা ১২ টা থেকে ১টা পর্যন্ত যৌথ অভিযান চালিয়ে প্রতারক আব্দুর ও তার দুই পুত্র কে তাদের বাড়ি থেকে আটক করা হয়। এসময় তাদের হেফাজাতে থাকা একটি ল্যাবটব জব্দ করা হয়।

আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে সাতক্ষীরা জেলা ডিবির অফিসার ইনচার্জ ইয়াছিন আলম চৌধুরী আপডেট সাতক্ষীরা কে জানান আটককৃত আব্দুর রহমান আন্তজেলা জালিয়াতি চক্রের হোতা, সে ও তার দুই পুত্র সরকারের উদ্ধর্ত্তন কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর ও সিল নকল করে অভিনব কায়দায় প্রতারণা করেন। ডিবির ওসি জানান,আটককৃতরা মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবী। সাতক্ষীরা সদর হসপিটালে ডোপটেস্টে তারা ৩ই জন মাদক সেবী হিসাবে সনাক্ত হয়েছেন। ডিবির ওসি আরো জানান,আটককৃতদের নামে জালিয়াতি মামলা ও মাদক সেবনের মামলা রুজুর প্রকৃিয়া চলছে। আগামীকাল তাদের কে বিঞ্জ আদালতে সোর্পদ করা হয়। 





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন