গ্রীল মিস্ত্রি মান্নানের দুই নিষ্পাপ কণ্যা মারিয়া আর সাবা পিতা হারিয়ে এখন নিরুপায়। বৃহম্পতিবার বিকালে স্ট্রোক জনিত রোগে ৩৭ বৎসরের তরুণ যুবক আবদুল মান্নান ইন্তেকাল করেন।(ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহে রাজেউন)।মুনজিতপুর জুবলী স্কুলের পাসে মৃত মোকলেজ সরদারের বড় পূত্র আবদুল মান্নান। সে দীর্ঘদিন যাবৎ সুনাম ও দক্ষতার সহিত কাটিয়ার চঞ্চল ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়েল্ডিং ওয়ার্কসপে কাজ করে যাচ্ছে।প্রতি দিনের ন্যায় বৃহম্পতিবার দুপুরে মান্নান কাজ থেকে বাড়ি এসেছিলো ভাত খেতে।ভাত খেতে খেতে হঠাৎ মান্নানের বুক ব্যাথা শুরু হলে মান্নানের পরিবার মান্নানকে সাতক্ষীরা সদর হহসপিটালে নিতে জরুরী বিভাগের ইএমও তাকে মৃত ঘোষণা করেন।পরে শুক্রবার বাদ জুম্মা কেন্দ্রীয় ঈদগাহে মান্নানের জানাজা শেষে তাকে কামাননগরে দাফন করা হয়।

পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী আবদুল মান্নানের অকাল মৃত্যুতে তার পরিবার সহ গোটা এলাতায় এখন শোকের মাতম বিরাজ করছে।সমবেদনা জানাতে যারা যারা আবদুল মান্নানের বাড়িতে গিয়েছিলেন তাদের সবার একটাই কথা,, মান্নানের ফুটফুটে দুটো কণ্যা মারিয়া ও সাবার কি হবে এখন? তাদের ভরণ পোষণ দেবে কে? গৃহীনি মা তো কোনো চাকুরী ও করেনা।তাহলে তাদের সংসার চলবে কিভাবে এখন?? এ প্রশ্ন এখন মুনজিতপুরের সকল শ্রেনী পেশার মানুষের।এলাকার মানুষ বলছে প্রতিবেশিরা হয়তো মান্নানের পরিবার কে ২/১ দিন সাহায্য সহযোগীতা করবে কিন্তু এতে তো তাদের জীবন চলবে না।গ্রীল মিস্ত্রী মান্নান যা আয় করতো তাই দিয়ে চলতো মান্নানের পরিবার।মান্নানের পিতা মারা যাওয়ার পর থেকে বাড়ির বড় ছেলে হিসাবে মান্নানই টানতো নিজের মা সহ তার পরিবারকে। মান্নানের এই অকাল মৃত্যুতে তার পরিবার এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এমতাবস্থায় এলাকার মানুষ এখন জেলার হৃদয়বান ধনী ব্যক্তি  সহ সাতক্ষীরার মানবিক জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল ও মানবতার ফেরি ওয়ালা সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম(বার) এঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন অসহায় পরিবার টির পাসে দাঁড়ানোর জন্য।

কোনো স্ব-হৃদয়বান ব্যক্তি অসহায় পরিবারটির পাসে দাড়াতে চাইলে মান্নানের পরিবারের সাথে (01941-055147 এই নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন।মানবতার জয় হোক,মানবতা বেঁচে থাকুক যুগযুগ ধরে।    

 

 





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন