সাতক্ষীরা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলা রুজুর ১০ ঘন্টার মধ্যে ভিকটিম কে উদ্ধার ও দুই আসামীকে গ্রেফতার করেছে। আটককৃত আসামীদের নাম ১। রিপন ( ২৩) পিতা শেখ আব্দুল করিম,গ্রাম কচুয়া। থানা- আসাসুনি সাতক্ষীরা এবং ২ নং আসামী আলামিন (৩২) পিতা: আঃ আজিজ গ্রাম : পাবলা, থানা দৌলতপুর।

 

সাতক্ষীরা থানার মামলানং ৫৭ তাং ২৪/১১/২০২০ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৭/৩০ ধারা মোতাবেক জানা যায়, সুলতানপুর ঝিলপাড়া প্রামের জামিলা বেগমের কন্যা তাফরিয়া তাবাস্সুম(১৩)। সে সাতক্ষীরা সরকারী উচ্চ বিদ্যালঢের নবম শ্রেনীর ছাত্রী।সে গত ২৩ নভেম্বর ২০২০ তারিখ বাসার সামনে খেলা করতে করতে হঠাৎ আর বাড়িতে ফিরে আসেনি।পরে অনেক খুজাখুজি করেও তাকে না পেয়ে তার মা জনৈক রিপন ও আলামিনের নামে সাতক্ষীরা থানায় মামলা দায়ের করেন।মামলা সুত্রে আরো জানা যায়,রিপন ও আলামিন দুই বন্ধু মিলে রাস্তা-ঘাটে স্কুল পড়ুয়া নবম শ্রেনীর ছাত্র তাবাচ্ছুম কে আগে থেকেই বিরক্ত করতো।সেই সন্দেহের ভিত্তিতে তার মা রিপন ও আলামিনের নামে ২৪ নভেম্বর ২০২০ তারিখ সাতক্ষীরা থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলা রুজুর পরপরই সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম-বার এঁর দিক নির্দেশনা মোতাবেক সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা সালাহ্উদ্দিনের তত্বাবধানে সাতক্ষীরা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে ইন্সপেক্টর তদন্ত বুরহান উদ্দিন, ইন্সপেক্টর অপারেশন বিপ্লব কান্তি মন্ডল ও সদর ফাড়ির আইসি রবিণ চন্দ্র মন্ডল তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে আসামী রিপন ও আলামিন কে খুলনা গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় সাতক্ষীরা থানা পুলিশের ঐ চৌকস টিম।

এসময় আসামীদের হেফাজাতে থাকা ১৩ বৎসরের নাবালিকা কন্যা তাফরিয়া তাবাচ্ছুম কে উদ্ধার করা হয়। এবিষয়ে মামলার আইও সাব-ইন্সপেক্টর রবিণ চন্দ্র মন্ডল জানান,আসামীদের কে বিজ্ঞ আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে আর মেয়ে তার পরিবারের কাছে যেতে না চাওয়ায় তাকে পুলিশের সেভ কাস্টডিতে রাখা হয়েছে।
সদর ফাড়ির আইসি রবিণ চন্দ্র মন্ডল আরো জানান,উদ্ধারকৃত নাবালিকা কন্যা তাবাচ্ছুম কে ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করে নারী পুলিশের পাহারায় সেভ কাস্টডিতে রাখা হয়েছে।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন