করোনা যুদ্ধে আমরা লক্ষ করেছি সব সময় পুলিশ বাহিনী এগিয়ে রয়েছে। করোনায় লক ডাউনে মানুষের বাড়ি বাড়ি খাবার পৌছে দেওয়া থেকে শুরু করে আক্রান্তদের কে বাড়ি লক ডাউন করা,মানুষকে ঘরে আটকে রাখা সহ করোনায় আক্রান্তে মৃতদের দাফন থেকে শুরু করে জানাজার নামাজ পর্যন্ত সব কিছুই করেছে বাংলাদেশ পুলিশের অকুতোভয় সদস্যরা।যেটি সম্ভব হয়েছে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কিংবদন্তী ইন্সপেক্টর জেনারেল ড.বেনজীর আহমেদ বিপিএম-বার এঁর দিক নির্দেশনায়।করোনা কালে পুলিশ আইন-শৃংখলা রক্ষার পাশাপাশি করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দের পাসে দাড়িয়ে বিশ্বের কাছে প্রশংসিত হয়েছে।
সকল বাধা বিপত্তি কাটিয়ে ২৭ জানুয়ারি ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ তারিখে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে করোনা টিকা প্রদান কর্মসূচীর আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেন।দেশে প্রথম দিন টিকা প্রদান অনুষ্ঠানে কুর্মিতলা হসপিটালের একজন নার্স,ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের পুলিশ অফিসার,ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সহ আরো অনেকে করোনার টিকা গ্রহণ করেন। এরপর গত ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ তারিখে সারাদেশে এক যোগে ককরোনার টিকা প্রদান করে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়।পরে টিকা গুলো দেশের সব কয়টি জেলার সিভিল সার্জন কার্যালয়ে করোনার টিকা পাঠানো হয়।
গতকাল ৭ ফেব্রুয়ারি রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হসপিটালে করোনার টিকা গ্রহণ করেন ডিএমপি কমিশনার মোহা:শফিকুল ইসলাম,অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও সিটিটিসি ইউনিট প্রধান মনিরুল ইসলাম,
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ডিআইজি হাফিজ আক্তার,
বরিশালের এসপি মো:মারুফ হোসেন,
কুষ্টিয়ার এসপি এসএম তানভীর আরাফাত,নড়াইলের এসপি মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন,
ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের ডিসি আব্দুল আহাদ,
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল,
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান,জয়পুরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশাসন মো: তরিকুল ইসলাম,
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অপরাধ ও প্রশাসন মো:আফজাল হোসেন,
খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: মেহেদী হাসান,
সাতক্ষীরা জেলা ডিবির ওসি ইয়াছিন আলম চৌধুরী,
সাতক্ষীরা জেলা ডিবির এসআই মহাসিন তরফদার সহ বিভিন্ন পদমর্যার পুলিশ সদস্যরা মানুষ কে উদ্বুদ্ধ করার জন্য নিজেরাই করোনার টিকা নিয়ে অন্যদের উৎসাহ যোগান।
আমরা খেয়াল করে দেখেছি করোনার ফাস্ট ওয়েব ও সেকেন্ড ওয়েব নিয়ন্ত্রণে সব সময় পুলিশ বাহিনী বেশি কাজ করেছে।করোনার থাবা কেড়ে নিয়েছেন শতশত পুলিশের তাজা প্রাণ। আমরা তাঁদের প্রতি বিনন্ব্র শ্রদ্ধা জানাই।কারন তাদের কারনে বেঁচে গেছে বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের প্রাণ।
আমরা আরো দেখেছি বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল ড.বেনজীর আহমেদ বিপিএম-বার করোনা পরিস্থিতিতে বিরামহীন ভাবে ছুটে চলেছেন। প্রতিনিয়ত তিনি পুলিশ হেড হোয়াটার্স থেকে প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রত্যেক বিভাগের পুলিশ কমিশনার,রেঞ্জের ডিআইজি ও প্রতিটা জেলার পুলিশ সুপারদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দিয়ে পুরো বাংলাদেশের মানুষ কে প্রটেকশন দিয়ে যাচ্ছেন।পুলিশের সুরক্ষার জন্য তিনি দেশের প্রত্যেকটি জেলার পুলিশের জন্য পর্যাপ্ত পরিমানে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী পৌছে দিয়েছেন। করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের জন্য বিভাগীয় শহরে পুলিশ হসপিটাল স্থাপন করেছেন বিশেষ করে রাজারবাগ পুলিশ হসপিটালের করোনা ইউনিট কে তিনি অত্যান্ত আধুনিক চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করেছেন।
এছাড়া করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যরা সুস্থ্য হয়ে তাদের রক্ত দিয়ে প্লাজমা ব্যাংক তৈরি করেছেন।নারায়নগজ্ঞের পুলিশ সুপার ও বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ জায়েদুল আলম ফুয়াদ সর্বপ্রথম করোনা জয়ী পুলিশ সদস্যদের রক্ত নিয়ে নারায়নগজ্ঞ পুলিশ লাইন্সে প্লাজমা ব্যাংক স্থাপন করেন। প্লাজমা ব্যাংক থেকে রক্ত নিয়ে শতশত করোনা আক্রান্ত মানুষ এখন সুস্থ্যতার মুখ দেখেছে। নারায়নগজ্ঞের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম টিটা গ্রহণের জন্য এলরেডি রেজিষ্ট্রেশন করেছেন।
তাই সর্বপরি বলা যায় করোনা যুদ্ধে পুলিশ সব সময়ই এগিয়ে ছিলো আবার করোনার টিকা গ্রহণের ক্ষেত্রেও পুলিশ সবার আগে সাহসের সাথে করোনার টিকা নিচ্ছেন।