চট্টগ্রামে এক নারীকে হত্যা ঘটনার মূল আসামিকে টঙ্গী থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধরের নেতৃত্বে রোববার ভোরে পল্লব বর্মন (৩৪) নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ২ মার্চ চট্টগ্রামের পাহাড়তলীর আব্দুল নগরের এক বাড়িতে ওই নারীকে হত্যার পর প্ল্লব গা-ঢাকা দিয়েছিলেন বলে সিআইডি জানিয়েছে।
১ এপ্রিল ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ।
ঢাকায় সিআইডির কার্যালয়ে রোববার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের উপ-মহাপরিদর্শক হাবিবুর রহমান জানান, ওই নারীর সঙ্গে পল্লবের পরিচয় গাজীপুরে। পল্লব একটি মোবাইল ফোনের দোকানে কাজ করতেন।
“একসময়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। উভয়েই আগে বিবাহিত ছিলেন। পরবর্তীতে পল্লব ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে ওই নারীকে বিয়ে করেন। গত ২৮ জানুয়ারি বাড়ি থেকে পালিয়ে চট্টগ্রামের পাহাড়তলিতে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন তারা।
“এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয়। তার জেরেই ধরে পল্লব বিষ মেশানো শরবত পান করিয়ে স্ত্রীকে হত্যা করেন।”
সিআইডির ডিআইজি বলেন, “মরদেহ উদ্ধারের পর পুলিশ সেটি অজ্ঞাত হিসেবে ময়নাতদন্তের পর দাফন করে। ওই কক্ষ থেকে পাওয়া একটি আলামতের সূত্র ধরে পুলিশ ওই নারীর বাবাকে শনাক্ত করে। পরে তার বাবা গত ২৬ এপ্রিল পাহাড়তলী থানায় এসে কাপড় দেখে তার মেয়ের বলে শনাক্ত করেন।”
এরপরই পাহাড়তলী থানায় হত্যা মামলা করা হয়।
সিআইডি ডিআইজি হাবিবুর রহমান বলেন, নিহতের বাবা পুলিশকে জানিয়েছিলেন, গত ১৮ জানুয়ারি তার ২৮ বছর বয়সী মেয়েকে অপহরণের অভিযোগে পল্লবের বিরুদ্ধে গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন এবং অপহরণের মামলা করা হয়।
গ্রেপ্তার পল্লব প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।