চলমান লক ডাউনে শহরের হোটেল রেস্তোরা সব বন্ধ। কিছুক্ষণ খোলা থাকলেও হোটেলে বসে ভাত খাওয়ার নিয়ম নেই। হোটেলে বসে যদি মানুষ ভাত-মাংশ খায় তাহলে উচ্ছৃষ্ট অংশ গুলো ফেলে দিলে রাস্তার কুকুর-বিড়াল গুলো খেয়ে বেঁচে থাকতে পারে। কিন্তু হোটেলে শুধু পার্সেল বিক্রি করায় রাস্তার কুকুর-বিড়াল গুলোর জীবন কাটছে এখন অনাহারে না খেয়ে।
বাংলাদেশ পুনাক সভানেত্রী জীশান মীর্জার নেতৃত্বে ঈদের আগের থেকে রাজধানীতে কর্মহীন মানুষের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত প্রতিদিনই চলেছে খাবার বিতরণের কাজ। প্রতিদিন না হলেও মাঝেমাঝেই এ মানবিক কাজ চলমান আছে, এখনও।
রাস্তায় খাবার বিতরণ করতে দেখে কিছু কুকুর ছুটে আসেন পুনাক সভানেত্রীর কাছে। এর মধ্যে একজন কুকুর গুলোকে তাড়িয়ে দিতে গেলে পুনাক সভানেত্রী তাকে বলেন,ওদের কে তাড়িয়ে দিওনা, ওরা অবলা জন্তু। মানুষ তো চাইতে পারে হাত পেতে কিন্তু ওরা তো আর চাইতে পারেনা। পরে পুনাক সভানেত্রী কুকুর গুলোকে কয়েকটি প্যাকেট খুলে খাবার রাস্তায় রেখে দেন। কয়েক মিনিটের মধ্যে দেখা গেলো খাবারের বক্সে আর কোন খাবার নেই। কুকুর গুলো এত বেশি ক্ষুধার্ত ছিলো যে নিমিষে ই প্যাকেটের রান্না করা খাবার গুলো খেয়ে ফেলেছে।পুনাক সভানেত্রীর এমন মানবতা ও উদারতা দেখে মুগ্ধ হন রাস্তার পথচারীরা।
এছাড়াও প্রতি দিন রাতে ঘুরে ঘুরে অসহায় মানুষের খোঁজ নিচ্ছেন, খাবার দিচ্ছেন ও বিভিন্ন ভাবে সহায়তা দিচ্ছেন বাংলাদেশ পুনাক সভানেত্রী জীশান মীর্জা নিজেই।
এই সহায়তা দিচ্ছেন তিনি তাঁর নিজস্ব তহবিল থেকেই এবং অনুপ্রাণিত করছেন বাংলাদেশের সকল জেলার পুনাক কে।
এভাবেই যেন বাংলাদেশ পুনাক সবার পাশে দাঁড়াতে পারে সেই প্রত্যাশা কামনা করেছেন বাংলাদেশ পুনাক সভানেত্রী ও বাংলাদেশ পুলিশের কিংবদন্তি আইজিপি ড.বেনজীর আহমেদ বিপিএম-বার এঁর সহধর্মিণী জীশান মীর্জা।