পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের আওতায় সম্প্রতি একটি কোম্পানি হয়েছে, যার নাম পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্ট মিডিয়া ক্রিয়েশনস। এটি মূলত একটি প্রডাকশন মিডিয়া। এখান থেকে শিগগিরই কিছু সিনেমা নির্মাণ হবে বলে জানালেন পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদ বিপিএম-বার।
রাজধানীর স্টার সিনেপ্লেক্সে বৃহস্পতিবার রাতে অনুষ্ঠিত হয় মিশন এক্সট্রিম সিনেমার প্রিমিয়ার। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘আমাদের একটি কল্যাণ ট্রাস্ট রয়েছে এবং এটিও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর করে দেয়া। তিনি যখন প্রথমবার ক্ষমতায় এসেছিলেন, তখন ৫ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। সেই ট্রাস্ট এখন কলেবরে অনেক বড় হয়েছে।’
সেই টাস্ট্রের আওতায় সম্প্রতি একটি কোম্পানি করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্ট মিডিয়া ক্রিয়েশনস থেকে আমরা কাজ করতে চাই। আমরা এখানে একটি সুস্থ হাওয়া আনতে চাই। এখানে টিপিক্যাল ফিল্ম প্রডাকশনের বাইরেও আরও মেধাবীরা আসতে পারে, আরও বেশি দক্ষ লোক আসতে পারে, তেমন একটি পরিবেশ তৈরি করতে চাই।’
কিছু সিনেমা নির্মাণের সম্ভাবনার কথা জানিয়ে আইজিপি বলেন, ‘এখান থেকে আমরা শিগগিরই কয়েকটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে চাই।’
আলোচনায় সিনেমা ব্যবসার কিছু সমস্যার কথাও উল্লেখ করেন বেনজীর আহমেদ। জানান, কোনো সিনেমা ১ টাকা মুনাফা করলে প্রযোজক পান ২০ পয়সা। তা হলে সেই প্রযোজক কোটি টাকার বিনিয়োগ কীভাবে তুলে আনবেন।
এ ছাড়া মধ্যস্বত্বভোগীদের হাত থেকে সিনেমাশিল্পকে বাঁচাতে এর সংস্কার প্রয়োজন বলেও বক্তব্যে উল্লেখ করেন পুলিশপ্রধান ।
করোনাকালে সিনেমা ব্যবসার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবং চলচ্চিত্রশিল্পকে উৎসাহিত করতে সরকার ১ হাজার কোটি টাকার তহবিল করে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো এ তহবিল থেকে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ সুদে ঋণ সরবরাহ করবে।
বেনজীর আহমেদ জানান, সে ঋণ নিতে সিনেমাসংশ্লিষ্টদের কোনো আগ্রহ নেই বলে তাকে বলেছেন তথ্যসচিব মকবুল হোসেন।
প্রিমিয়ারে তথ্যসচিবও উপস্থিত ছিলেন। তথ্যসচিবের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আইজিপি বলেন, ‘আমি বলতে চাই যে আপনি এই টাকা আমাকে দেন অর্থাৎ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টকে দেন। আমরা এক বছরের মধ্যে এটিকে অন্যরকম পর্যায়ে নিয়ে যাব। এটি নিয়ে অ্যাগ্রিমেন্ট হতে পারে তথ্য মন্ত্রণালয় এবং পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের মধ্যে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গেও আমরা বসতে রাজি আছি। আমাদের সেই অপরচুনিটি আছে, ম্যানপাওয়ার আছে।’
কোটি টাকা সিনেমায় বিনিয়োগ করে তা ফেরত আনার মতো ক্যাপাসিটি বাংলাদেশের সিনেমা বাজারে নেই বলেও মন্তব্য করেন বেনজীর। এ সংকট কাটাতে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির সঙ্গে সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধি প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘আমাদের বিনোদনে একটি সাফোকেশন আছে। কিশোর-কিশোরী, যুবক-যুবতীদের বিনোদনের কোনো জায়গা নেই। তাদের সুস্থ বিনোদন দেয়া আমাদের দায়িত্ব, রাষ্ট্রের দায়িত্ব, সবার দায়িত্ব।’