প্রতিষ্ঠার পর থেকে র‌্যাবের কাছে জঙ্গি ও জলদস্যু মিলিয়ে মোট ৪২১ অপরাধী আত্মসমর্পণ করেছে। তারা এখন স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছে। র‌্যাবের এমন মানবিক আত্মসমর্পণের সুযোগ বিশ্বের কোনো বাহিনী দেয়নি বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেছেন, ‘আমরা সবসময় মানবিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছি। অপরাধীদের আত্মসমর্পণের সুযোগ দিয়ে আমরা মানবিকতার নজির স্থাপন করেছি। আমরা বলব, র‌্যাব মানবাধিকার লুণ্ঠন করেনি, র‌্যাব মানবাধিকার রক্ষা করে চলছে।’

শনিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

জানা যায়, র‌্যাবের হাতে আত্মসমর্পণকারী দস্যুদের মধ্যে সুন্দরবনে ৩২৮ ও চট্টগ্রামের বাঁশখালিতে ৭৭ জলদস্যু এবং ১৬ জঙ্গি রয়েছেন।

সংবাদ ব্রিফিংয়ে র‌্যাবের সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার প্রবেশে যুক্তরাষ্ট্র যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তা নিয়ে কথা বলেন র‌্যাব মুখপাত্র।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি আমরা গণমাধ্যমের মাধ্যমে অবগত হয়েছি। এ বিষয়ে অফিশিয়ালি এখনো কোনো কিছু জানি না। অফিশিয়াল কোনো চিঠি না পাওয়ার আগ পর্যন্ত এ বিষয়ে তেমন কিছু বলতে পারছি না। অফিশিয়াল চিঠি পাওয়ার পর, আমরা এই বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব। তবে আমরা বলব, র‌্যাব মানবাধিকার লুণ্ঠন করেনি, র‌্যাব মানবাধিকার রক্ষা করে চলছে।’

র‌্যাবের মুখপাত্র বলেন, ‘আমাদের নয় হাজারের যে ফোর্স (সদস্য), এই ফোর্সের লে. কর্নেল আজাদসহ ২৮ জন সদস্য জীবন দিয়েছেন। মানবাধিকার রক্ষায় এবং আইনশৃঙ্খলা সম্মুন্নত রাখতে আমাদের এক হাজারের বেশি সদস্যের অঙ্গহানি হয়েছে। এছাড়া আমাদের দুই হাজারের বেশি সদস্য আহত হয়েছেন। বিশ্বের এমন কোনো ফোর্স নেই যাদের নয় হাজার সদস্যের মধ্যে, যারা দেশের আইনশৃঙ্খলা ও মানবাধিকার রক্ষায় যে আত্মত্যাগ তা কোনো বাহিনীর রয়েছে কিনা আমার সন্দেহ রয়েছে।’

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার বিভিন্ন দেশের ১৫ ব্যক্তি ও ১০ প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট (রাজস্ব দপ্তর)। এতে র‍্যাব ও তার ছয় কর্মকর্তার ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দেশটি। মার্কিন রাজস্ব দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত বিবৃতি অনুসারে, নিষেধাজ্ঞার তালিকায় বর্তমান পুলিশ প্রধান ড. বেনজীর আহমেদের নাম রয়েছে। এছাড়াও রয়েছেন- র‍্যাবের বর্তমান মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) খান মোহাম্মদ (কেএম) আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) তোফায়েল মোস্তফা সরওয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মো. জাহাঙ্গীর আলম ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মো. আনোয়ার লতিফ খান ও র‍্যাব-৭ এর সাবেক অধিনায়ক (লেফটেন্যান্ট কর্নেল) মিফতাহ উদ্দীন আহমেদ।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন