ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিতে অমর একুশে বইমেলায় ঢাকা রেঞ্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল মো: হাবিবুর রহমান, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) ‘ঠার: বেদে জনগোষ্ঠীর ভাষা‘ গবেষণাধর্মী গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ৩টায় বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে একটি প্রকাশনা উৎসবে এ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান পাঞ্জেরী পাবলিকেশনস লিমিটেড বইটির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

বইটির মোড়ক উন্মোচনের আগে এ গ্রন্থের লেখক ডিআইজি হাবিবুর রহমানকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। এ সময় তাকে উত্তরীয় পরিয়ে দেওয়া হয়।
এ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন কথাসাহিত্যক ও শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান। মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কথাসাহিত্যিক ও নাট্যজন অধ্যাপক ড. রতন সিদ্দিকী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।

‘ঠার: বেদে জনগোষ্ঠীর ভাষা‘ গ্রন্থের ভাবনা ও প্রস্তাবনা তুলে ধরে বইয়ের লেখক ডিআইজি হাবিবুর রহমান বলেন, ‘‘বেদে সম্প্রদায়ের ভাষা ‘ঠার‘ নিয়ে লিখতে গিয়ে শুরুতে বেদে সম্প্রদায়ের খুব কাছকাছি চলে আসি। জানতে পারি বেদে সম্প্রদায়ের মানুষেরা মাদক বিক্রি করে। তারা সাপ খেলা দেখানোর ছলে কক্সবাজারের উখিয়া থেকে ইয়াবা নিয়ে ট্রেনে করে কমলাপুর পর্যন্ত এসে তাদের আস্তানায় পাড়ি জমাত। এরপর সেখান থেকে চলত মাদক বিক্রি। আমি তাদের সম্প্রদায়ের ১৭ জন সর্দারের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা স্বীকার করেছিল নদী না থাকা, সাপ খেলায় মানুষের আগ্রহ না থাকা ও তাবিজ না নেওয়ায় তারা মাদক বিক্রির পথে পা বাড়ায়।এরপর যখন তারা নিজেরা কথাবার্তা বলে তখন আমি বুঝতে পারি তাদের একটি নিজস্ব ভাষা আছে। আমি কৌতুহলের বশেই তাদের ভাষা নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী হই।‘‘





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন