সদ্য পদায়ন পাওয়া ৪০ জেলার পুলিশ সুপারদের (এসপি) আগামী নির্বাচনী মৌসুম ঠান্ডা মাথায় মোকাবিলা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সার্বিক সমন্বয়ের মাধ্যমে জনগণের জন্য পুলিশিং করার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ বিপিএম-বার।

সকাল ১০টায় শুরু হওয়া অনুষ্ঠান শেষ হয় রাত ৮টার কিছু আগে। বৈঠকে উপস্থিত কর্মকর্তাদের কাছ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

১৫ আগস্ট বরগুনায় ছাত্রলীগকে লাঠিপেটা এবং ৩১ জুলাই ভোলায় পুলিশের গুলিতে স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের দুই নেতা নিহত হওয়ার ঘটনাগুলো উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হয় এসপিদের সামনে। বলা হয়, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে না। তাই আইনি পথে পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে জোর দেন বক্তারা।

অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এর পর বক্তব্য দেন আইজিপি বেনজীর আহমেদ। তিনি জনগণের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত থাকার জন্য এসপিদের প্রতি আহ্বান জানান।

অতিথি বক্তা হিসেবে ভূমি সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান আলোচনায় অংশ নেন। পুরো সেশনে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে নতুন পুলিশ সুপারদের নানা দিক নির্দেশনা দেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। মূলত তিনি শুদ্ধাচার এবং সেবার মান নিয়ে বক্তব্য দেন। জননিরাপত্তা সচিবের পর সমাপনী বক্তব্য দেন মুখ্যসচিব আহমদ কায়কাউস।

এসপিদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে স্বরাষ্টমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘সামনের দিনগুলোতে পেশাদারত্ব বজায় রেখে কাজ করার জন্য তাঁদের আহবান জানানো হয়েছে। জেলার পুলিশ প্রধান হিসেবে চ্যালেঞ্জ থাকবে। কোনো ঘটনায় এসপির ভূমিকাই চোখে পড়ে। আমরা তাঁদের বলেছি, যেকোনো মূল্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখবেন। অবনতি হলে দায় নিতে হবে। সামনে নির্বাচন আসছে, কারও আনুকূল্যে কিংবা বিপক্ষে কাজ করা যাবে না। কেউ রাষ্ট্রদ্রোহী বা আইনের বিরুদ্ধে কাজ করলে ত্বরিৎ অ্যাকশন নেবেন।’

প্রসঙ্গত, গত ৩ আগস্ট ঢাকাসহ এক যোগে দেশের ৪০ জেলায় নতুন এসপি পদায়ন করা হয়। যারা এই সপ্তাহের মধ্যে নিজ কর্মক্ষেত্রে যোগ দেবেন।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন