জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে বৃষ্টি উপেক্ষা করে সাজেদা চৌধুরীকে শেষবারের মতো বিদায় জানাতে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে। সোমবার বিকালে ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তার মরদেহে শ্রদ্ধা জানান বিশিষ্টজনরা।
প্রথমে রাষ্ট্রপতির পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করার পরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে দলের নেতারা শ্রদ্ধা জানান। এর আগে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী।
দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা নিবেদন করার সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলির সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ সেলিম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি,হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
এছাড়া আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুবমহিলা লীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ যুবলীগের স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতারা শ্রদ্ধা জানান।
শ্রদ্ধা নিবেদন করার সময় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর শূন্যতা পূরণ হবার নয়। শেখ হাসিনার অত্যন্ত বিশ্বস্ত সহকর্মী ছিলেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। তিনি দেশের রাজনীতির একটা বড় অধ্যায়জুড়ে রয়েছেন। তার শূন্যতা পূরণ হবার নয়।
জাতীয় পার্টি জেপি, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্বিবদ্যালয়সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামজিক সংগঠনের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এছাড়া আওয়ামী লীগের সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
আওয়ামী লীগের একজন পরিক্ষিত বার্ষীয়ানী নেতা সাজেদা চৌধুরী। রবিবার দিবাগত রাত ১১.৪০ মিনিট সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি বার্ধক্য জনিত রোগে ভুগছিলেন। ৬৬ বছরে রাজনৈতিক বার্ণাঢ্য জীবন ইতি হয়েছে তার। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। তার মৃত্যুতে রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া পড়েছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর প্রথম জানাজা সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত হয় তার নির্বাচনী এলাকা ফরিদপুর নগরকান্দায় এম এন একাডেমি স্কুল মাঠে।
এরপর ফরিদপুর থেকে মরহুমের মরদেহ বিকাল ৩টায় সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হয় ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা শেষে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক কার্যালয়ে কিছু সময় রেখে বাদ আসর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজা শেষে সোমবার সন্ধ্যায় ৬টা ২০ মিনিটে বনানী কবরস্থানে গুলগান বিভাগের ডিসি আব্দুল আহাদের নেতৃত্বাধীন একদল চৌকস পুলিশ মরহুমা র কফিনের সামনে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা গার্ড অফ অনার প্রদান করেন।এরপরে তাঁকে দাফন করা হয়।