একাধিক মাদক মামলার আসামী শ্রীরামপুরের বকুল এখন বিভিন্ন আইন-শৃংখলা বাহিনীর সোর্স পরিচায়ে রমরমা মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।চলতি  বছরের প্রথম দিকে সাতক্ষীরা থানার ওসি দেলোয়ার হুসেন এঁর নির্দেশনা মোতাবেক সদর থানার এসআই শাহজালালের নেতৃত্বে এএসআই জিয়া, এএসআই আনোয়ার ও সঙ্গীয় ফোর্স অভিযান চালিয়ে ০৬ বোতল ফেন্সিডিল সহ শ্রীরামপুর  বাজার থেকে বকুল কে আটক করে সদর থানা পুলিশ।সেই মামলায় চালান হয়ে ১৫ দিন জেল খাটে বকুল। জেল থেকে বের হয়ে কিছু দিন শ্রীরামপুর বাজারে মটরপার্ট্সের দোকান দেয় বকুল। বেশ ১০/১২ দিন ভালো থেকে আবারো মটরপার্ট্সের দোকানের আড়ালে ফেন্সিডিল বিক্রি শুরু করে শ্রীরামপুরের গফুরমোড়লের ছেলে বকুল।

কয়েকমাস যেতে না যেতে আবারো আট বোতল ফেন্সিডিল সহ সাতক্ষীরা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ক্রণ অধিদপ্তরের এসআই বিজয় কুমারের নিকট গ্রেপ্তার হয় বকুল। সেই মামলায় ৭-৮ দিন জেল খেটে আবারো বাড়িতে ফেরে শ্রীরামপুরের কুক্ষাত মাদক ব্যবসায়ী বকুল।পরপর দুই বার মামলা খেয়ে বকুল এবার মাদক ব্যবসার ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেছে বলে জানা গেছে।বকুল সম্প্রতি শ্রীরামপুর বাজার রেখে একটু সামনে একটি কফি শফ তৈরি করেছে।”যার নাম বকুল কফি হাউজ” সেই কফি শপে গ্লাসে ঢেলে মাদক সেবীদের নিকট লিকুইড ফেন্সিডিল বিক্রি করে বলে বিশ্বস্ত সুত্র জানিয়েছে।

খোজ নিয়ে আরো জানা যায়, বকুলের মোবাইল নাম্বার 01730-977959 এর মাধ্যমে বিকাশে টাকা নিয়ে বকুল নির্দিষ্ট একটি গোপন জাগায় মাদক রেখে মাদক সেবীদের সাথে মাদকের লেনদেন সম্পন্ন করে।এতে করে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যের চোখে ধুলো দিয়ে বকুল দিদারসে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।

নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে শ্রীরামপুরের এক মেম্বার জানান,বকুল এখন ভোমরা, শাখরা ও আলিপুর চেকপোস্টে দায়িত্বরত বিজিবির সদস্যদের সোর্স পরিচয় দিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।

শ্রীরামপুর গ্রামের ঐ জনপ্রতিনিধি  জানান,বকুল গ্রামের একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও একাধিক মাদক মামলার আসামী।তিনি জানান,ভারত থেকে চোরাইপথে আসা ফেন্সিডিল কম দামে কিনে এনে বকুল চড়া রেটে ২৫০০ টাকা দামে বিক্রি করছে মাদকাসক্ত যুবকের কাছে। ঐ জনপ্রতিনিধি আরো বলেন,প্রায় প্রায় রাস্তায় দেখা যায় ভেজাল ফেন্সিডিল বিক্রি করাতে মাদক সেবীরা বকুলের জামার কলার ধরে কিলচড় মারছে।পরে আবার এলাকার জনগণ গিয়ে বকুল কে রক্ষা করে।

খোজ নিয়ে আরো জানা যায়, বকুল গোপালগঞ্জে বিপুল পরিমান ফেন্সিডিল সহ ধরা পড়ে কয়েক বৎসর আগে । এ নিয়ে গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারে বকুল ৬ মাস হাজত খেটে জামিনে বের হয় বকুল।

কিন্তু ধুত্তোর বকুল পুলিশের কাছে মামলা লেখার সময় নাম সঠিক দেয়, পিতার নাম (গফুর মোড়ল) সঠিক দেয় অথচ ঠিকানা শ্রীরামপুরের পরিবর্ত্তে আশাশুনি দেয় এবং সেই মামলায় বকুল আদালতে আর হাজির না হওয়াতে গোপালগঞ্জের বিঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ  বকুল কে সাজা প্রদান করে।

সাজা প্রাপ্ত আসামী বকুল গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশ কে  ঠিকানা ভুল দিয়ে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে দিব্বি মাদক বিক্রি করে যাচ্ছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ সুশীল সমাজের। 

 

 

 





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন