প্রতারকের নিকট হতে ৩,৬০,০০০/=( তিন লক্ষ ষাট হাজার) টাকা উদ্ধার করে  ভুক্তভোগীর কাছে হস্তান্তর করলেন সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান। রবিবার সকালে পুলিশ সুপার তাঁর কার্যালয়ে মোঃ আবুল হোসেনের কাছে উদ্ধার হওয়া টাকা তুলে দেন।

জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(প্রশাসন ও অর্থ) সজীব খান জানান, অভিযোগকারী মোঃ আবুল হোসেন (৫০), পিতা- মৃত শেখ নবাব আলী, গ্রাম-ছোট কাশিপুর, থানা-পাটকেলঘাটা, জেলা- সাতক্ষীরা, ছেলে মোঃ মিন্টু শেখ (২১) কে দুবাই রাষ্ট্রে ফ্রি ভিসায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে প্রতারক মোঃ সফুর সরদার ও মোঃ সাত্তার সর্দার, উভয় পিতা- মৃত মফে সরদার,গ্রাম- এনায়েতপুর শানতলা, থানা- পাটকেলঘাটা, জেলা – সাতক্ষীরাদ্বয় ৩,৬০,০০০/=( তিন লক্ষ ষাট হাজার) টাকা গ্রহণ করে।

পরবর্তীতে আবুল হোসেনের ছেলে মিন্টুকে বিদেশে নিয়ে যায় না। ফলে আবুল হোসেন অভিযোগ করেন পুলিশ সুপার, সাতক্ষীরা এঁর  নিকটে ।এর প্রেক্ষিতে  পুলিশ সুপার সাতক্ষীরার নির্দেশে মোঃসাজ্জাদ হোসেন, সহকারী পুলিশ সুপার (তালা সার্কেল) প্রতারকের নিকট হতে উক্ত ৩,৬০,০০০/=( তিন লক্ষ ষাট হাজার) টাকা উদ্ধার করেন।

উদ্ধার করা ৩ লাখ ৬০ হাজার  টাকা রবিবার সকালে  সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান ভুক্তভোগী মোঃ আবুল হোসেনের নিকট তুলে দেন। টাকা হস্তান্তর করার সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ সজীব খান,সহকারী পুলিশ সুপার তালা সার্কেল মোঃসাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ।

এদিকে প্রতারকের নিকট থেকে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপে ৩ লাখ ৬০হাজার টাকা ফিরত পেয়ে ভুক্তিভোগী আবুল হোসেন এ প্রতিবেদক কে জানান,আমি খুব অসহায় মানবেতর জীবন যাপন করতেছিলাম।লোকের কাছ থেকে সুদে টাকা নিয়ে, গরু-ছাগল বিক্রি করে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা জোগাড় করে সফুর সরদার ও মোঃ সাত্তার সর্দার কে দিয়েছিলাম আমার ছেলে কে বিদেশে পাঠাবো বলে।কিন্তু তারা আমার ছেলেকে বিদেশে না নিয়ে আমার সাথে প্রতারণা করেছিলো।আমি গরুর গোয়াল ঘরে বসবাস করছি পরিবার নিয়ে।তিনি বলেন,সাতক্ষীরার মানবিক পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপে আমি প্রতারকদের নিকট থেকে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা ফিরে পেয়েছি।আবুল হোসেন আরো জানান,আমি ও আমার পরিবার সাতক্ষীরার মানবিক পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।আল্লাহ পাঁক তাঁকে সুস্থ্য রাখুক ও দীর্ঘ হায়াত দারাজ করুক।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন