জননিরাপত্তা ও সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কথা মাথায় রেখে পল্টনে সমাবেশ করতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ উপলক্ষ্যে বুধবার (৭ ডিসেম্বর) নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার এ কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছাড়া ঢাকায় ১০ লাখ মানুষ সমাবেশের কোনো স্থান নেই। রাস্তার ওপর কোনো ভাবেই এত মানুষ সমাগম করতে দেয়া যাবে না। কারণ, এত মানুষের ওপর বিএনপি ও ডিএমপির কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। তাই খোলা মাঠে এই সমাবেশ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছাড়া এজতেমা মাঠ, বানিজ্য মেলা মাঠে এই সমাবেশ করতে হবে। কোনো ভাবেই সমাবেশ পল্টনে করতে দেয়া হবে না।
এদিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির প্রধান কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২০ জন। নিহতের নাম মকবুল হোসেন। বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে ঢামেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘নিহতের শরীরে শটগানের গুলির আঘাত রয়েছে।’
তবে নয়াপল্টনে পুলিশের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীরাই চড়াও হয়েছিল বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম-কমিশনার মেহেদী হাসান।
বুধবার পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের পর তিনি বলেন, ‘বিএনপি বেআইনিভাবে অনুমতি না নিয়ে নয়াপল্টনে সড়কের ওপর বিভিন্ন সময়ে সভা-সমাবেশ করে আসছে। আজ তারা নয়াপল্টনে পুলিশের ওপর হঠাৎ চড়াও হয়। আক্রমণাত্মকভাবে পুলিশকে আঘাত করে। পুরো এলাকায় তারা ত্রাসের রাজত্ব কায়েমের চেষ্টা করে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে অবনতি না ঘটে, সেজন্য ডিএমপি ব্যবস্থা নিয়েছে।’