নারী ফুটবলার মাসুরার বাবা কে দোকান তৈরি করে দিচ্ছেন সাবেক পুনাক সভানেত্রী জীশাণ মীর্জা

দ্বারা Update Satkhira
০ মন্তব্য 286 দর্শন

 

সাফজয়ী জাতীয় নারী ফুটবল দলের ডিফেন্ডার মাসুরা পারভীনের বাবা রজব আলীর মোটর ভ্যানটি চুরি হয়ে গেছে। শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতের কোনো এক সময়ে এ ঘটনা ঘটে। মাস খানেক আগে জাতীয় নারী ফুটবল দলের অন্যতম খেলোয়াড় মাসুরা খাতুন তার বাবা রজব আলীকে এই ভ্যানটি কিনে দেন।রজব আলী জানান, আমি আগে ভ্যানে করে সবজি ও ফল-ফলাদি বিক্রি করতাম। কয়েক বছর যাবত আমি তীব্র অসুস্থ্য হয়ে পড়ায় ব্যবসা করতে পারিনি।

সম্প্রতি শারীরিক অবস্থা একটু ভালো হয়ে উঠায় মাসুরা আমাকে ত্রিশহাজার টাকা দিয়ে একটি ভ্যান কিনে দেয়। এই ভ্যানে করে আমি ৮/১০ হাজার টাকার সবজি বিক্রি করি। ভ্যানটি আমি বাড়ির উঠানে তালা মেরে রেখেছিলাম। রাতের কোনো এক সময়ে বাড়ির গেটের তালা ভেঙে ভ্যানটি নিয়ে চলে যায়। এতে আমি খুব বিপাকে পড়েছি।

মাসুরার মা ফাতেমা বেগম জানান, মাসুরার সাফজয়ের পর বাবাকে নতুন ভ্যান কিনে দিতে চেয়েছিল। মাস খানেক আগে সে তার বাবাকে একটি নতুন ভ্যান কিনে দেয়। কিন্তু শুক্রবার ভোররাতে ভ্যানটি বাড়ি থেকে চুরি হয়ে গেছে। চুরি হওয়ার পর থেকে মাসুরার বাবা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে।

মাসুরার বাবার ভ্যান চুরি হওয়ার সংবাদটি পত্রপত্রিকায় দেখতে পান বাংলাদেশ পুনাকের (পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি)  সাবেক সফল সভানেত্রী ও সাবেক সফল আইজিপি ডা.বেনজীর আহমেদ বিপিএম-বার এঁর পত্নী জীশাণ মীর্জা।সংবাদটি দেখা মাত্র ই জীশাণ মীর্জা ইন্সপেক্টর হাফিজের মাধ্যমে  মাসুরার বাবার মোবকইল নাম্বার কালেক্ট করে মাসুরার বাবার কাছে ফোন দিয়ে খোজখবর নেন সাবেক পুনাক সভানেত্রী জীশাণ মীর্জা।তিনি মাসুরার বাবা কে সাস্তনা দিয়ে বলেন, আপনাকে ভ্যান কিনে দিলে তো আবারো চুরি হতে পারে।তাছাড়া আপনি অসুস্থ্য ভ্যান চালানোর শক্তি আপনার নেই।আপনাকে বরং একটা মুদি খানার দোকান করে দেই? জীশাণ মীর্জার প্রস্তাবে আগ্রহ প্রকাশ করলে তিনি পুনাকের সাবেক সাব-ইন্সপেক্টর হাফিজের মাধ্যমে মাসুরার বাবা কে একটি খামে করে নগত আর্থিক সহযোগীতা পাঠিয়ে দেন দোকান করার জন্য।

এবিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক বাংলাদেশ পুনাক সভানেত্রী জীশাণ মীর্জা আপডেট সাতক্ষীরার প্রতিদেবক কে জানান,সাতক্ষীরায়ে আমার দাদার বাড়ি আবার সাতক্ষীরাতে আমার নানার বাড়ি।যদিও আমার জন্ম ঢাকাতে। লেখাপড়া ও ঢাকা তে করেছি। তারপরেও সাতক্ষীরার মানুষের প্রতি আমার একটা নাড়ীর টান রয়ে গেছে।তিনি বলেন, কিছু দিন আগে আমি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় দেখেছি সাফজয়ী ফুটবলার মাসুরার বাবা রজব আলীর জীবিকা নির্বাহের এক মাত্র উৎস ভ্যান গাড়ি টি চুরি হয়ে গেছে। বিষয়টি জেনে আমি মাসুরার বাবাকে ফোন দিয়েছি ও খবর নিয়েছি।তিনি  অসুস্থ্য থাকায় আমি তাকে ভ্যানের পরিবর্ত্তে অন্য কিছু করার পরামর্শ দিলে তিনি সম্মতি প্রকাশ করেন। পরে আমি পুনাকের সাবেক সাব-ইন্সপেক্টর হাফিজের মাধ্যমে মাসুরার বাবাকে আর্থিক সহযোগীতা পৌছে দিয়েছি। জীশাণ মীর্জা আরো জানান,মাসুরার বাবার দোকান তৈরি হয়ে গেছে। এখন দোকানে মালাপত্র কেনার টাকা নেই তাদের।আমি তাদের দোকানের মালামাল কেনার জন্য আবারো আর্থিক সহযোগীতা পাঠাবো দু এক দিনের মধ্যেই।তিনি আরো বলেন,আমার প্রতিনিধি সাতক্ষীরাতে গিয়ে মাসুরার বাবা রজব আলীর দোকানে গিয়ে মালাপত্র কিনে দিয়ে আসবে ইনশাল্লাহ!!

সর্বোপরি বলা যায়, জীশাণ মীর্জা একজন মানবিক পুনাক সভানেত্রী ছিলেন। করোনা পরিস্থিতির ভিতরে আইজিপি র দায়িত্ব নিয়েছিলেন তাঁর পত্নী সাবেক আইজিপি ড.বেনজীর আহমেদ বিপিএম-বার। করোনা কালে সাবেক আইজিপি ড.বেনজীরের নেতৃত্বে বাংলাদেশ পুলিশ কর্মহীন মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বস্তাভর্ত্তি চাল-ডাল সহ খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিয়েছে।এমন কি করোনা আক্রান্ত পিতা-মাতা কে ফেলে পালিয়েছে সন্তান আর সেই মৃত পিতা-মাতার সৎকার কাজ সম্পন্ন করেছে পুলিশ।তৎকালীন সফল  আইজিপি ড.বেনজীর আহমেদ বিপিএম-বার এঁর অনুপ্রেরণায় সাবেক পুনাক সভানেত্রী জীশাণ মীর্জা ও করোনা কালে ঘরে বসে থাকেন নি। তিনি কেদ্রীয় পুনাকের সকল নেতৃবৃন্দ কে নিয়ে প্রতিদিন বাসা থেকে রান্না খাবার এনে রাস্তায় পড়ে থাকা হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষের মাঝে বিতরণ করেছেন।

সিলেটের বর্ন্যাতদের পাসে শুকনা খাবার পৌছে দিছিলেন জীশাণ মীর্জার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় পুনাক।তাছাড়া মাহে রমজান মাসে জীশাণ মীর্জা বাসা থেকে ইফতারি তৈরি করে এনে রাস্তায় রোজাদার দের মাঝে ইফতার সামগ্রী তুলে দিতেন।

মানুষের মত জীবজন্তুুর প্রতি ছিল জীশাণ মীর্জার অগাধ প্রেম।পশুপাখি অসুস্থ হয়ে পড়লে জীশাণ মীর্জা যেকোন মাধ্যমে সেই অসুস্থ্য প্রাণীকে পশু হসপিটাল থেকে চিকিৎসা করিয়ে আনতেন।

সাবেক পুলিশ প্রধান ড.বেনজীর ও জীশাণ মীর্জার মত বড় মনের মানুষ গুলো ভালো থাকুক ও সুস্থ্য থেকে অসহায় ও দুস্থ্য মানুষদের সেবা করে যাক, এটাই প্রত্যাশা সকলের।

 





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন