কলারোয়ার কুক্ষাত মাদক ব্যবসায়ী আজহারুল ডিবির জালে মাদক সহ আটক

দ্বারা zime
০ মন্তব্য 928 দর্শন

 

সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার দক্ষীণ ভাদিয়ালী গ্যারাখালি ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারন সম্পাদক ও ৫ টি মাদক মামলার আসামী কুক্ষাত মাদক সম্রাট আজহারুল কে ১৫ বোতল ফেন্সিডিল সহ আটক করেছে সাতক্ষীরা জেলা ডিবি পুলিশ।ডিবি পুলিশ জানায়, আজ ভোর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবির নবাগত ওসি তারেক ফয়সাল বিন ইবনে আজিজের নেতৃত্বে ডিবির এসআই মেহেদী হাসান,এএসআই রাসেল ও সঙ্গীয় ফোর্সের সহযোগীতায় গ্যারাখালি রাইচ মিলের সামনে মাদক ক্রয়-বিক্রয় কালে ১৫ পনের বোতল ফেন্সিডিল সহ কুক্ষাত মাদক ব্যবসায়ী আজহারুল ইসলাম কে আটক করে ডিবির ঐ চৌকশ টিম।

আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে সাতক্ষীরা ডিবির ওসি তারেক ফয়সাল ইবনে আজিজ জানান,আটককৃত মাদক ব্যবসায়ীর নামে ৫ টি মাদক মামলা রয়েছে। তিনি জানান,আটককৃত আসামীর নামে ডিবি পুলিশ বাদী হয়ে কলারোয়া থানায় একটি মাদক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করেছে। যাহার  মামলা নং-১৬/১৮৪,তারিখ- ১২/০৬/২০২৩ ইং, ধারা- মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন, ২০১৮ সালের ৩৬(১) সরণী ১৪(খ) এর একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়। ওসি ডিবি আরো জানান,আটককৃত আসামী কে বিঞ্জ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

এক নজরে মাদক সম্রাট আজহারুল : পাঁচটি মাদক মামলার আসামী আজহারুল গ্যারাখালি র মৃত মোত্তজা দালালের ছেলে। জিরো থেকে হিরো হয়েছেন ।তিনি অহংকার করে প্রায়ই বলেন,  পুলিশ-বিজিবি- র্্যাব – আবগারি সবই নাকি তার পকেটে থাকে।

খোজ নিয়ে যানাা যায়,নিজের মাদক ব্যবসা কে সম্প্রসারিত করার জন্য একই এলাকার শীর্ষ চোরাকারবারি আসাদুলের ছেলের সাথে তার মেয়ে বিয়ে দিয়েছেন পিতা নামের জঘন্য এই মাদক ব্যবসায়ী।খোজ নিয়ে আরো জানা যায়,দাপোটের সহিত মাদক ব্যবসা চালানোর জন্য তিনি ঐ এলাকার ৩২ বছরের ওয়ার্ড আ’লীগের সেক্রেটারি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। মাদক ব্যবসায়ী আজহারুলের দুটো প্রাইভেট কার আছে।৬ মাস আগে আজহারুলের সাদা রংয়ের প্রাইভেট গাড়ীটি ২০০ বোতল ফেন্সিডিল সহ ফরিদপুরে Rab-8 এর হাতে আটক হয়।এসময় আজহারুলের প্রাইভেট কারের গ্যাসের সিলিন্ডার কেটে ২০০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করে র্্যাব।পরে ৩ মাস পরে আজহারুল তার প্রাইভেট কার টি জামিনে ছাড়িয়ে আনেন।

মাদক সম্রাট আজহারুল  কলারোয়া থানার ৫ নং ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড আ’লীগের সেক্রেটারী পদে আজ ৩২ বছর যাবৎ দায়িত্ব পালন করছেন। তার ভাইপো মেম্বার ইকবল ৬ নং ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার।থানা পুলিশ+ বিজিবি আজহারুল কে ঝামেলা করলে মেম্বার ইকবাল তার চাচার জন্য বিভিন্ন মহলে তদবীর করে বেড়ান। আজহারুলের ভাগনে জনৈক দারোগা,  মামা যখন খুব বিপদে পড়েন তখন তিনি তার কলিকদের তদবীর করে মামা কে বাঁচিয়ে দেন মর্মে জনশ্রুতি আছে।

এছাড়া কলারোয়া উপজেলা আ’লীগের শীর্ঘ পদের জনপ্রতিনিধি র পাসে দাড়িয়ে তাকে প্রায় ছবি তুলতে দেখা যায়।ঐ নেতার প্রতি অনুরোধ সুশীল সমাজের, প্লিজ মাদক ব্যবসায়ী দেশ ও জাতির শত্রু। তাকে দলীয় পদ থেকে বহিস্কার করে দেন।  দলীয় পরিচয় ব্যবহার করাতে এতদিন এই মাদক ব্যবসায়ী ছিলো ধরাছোয়ার বাইরে। কিন্তু সাতক্ষীরার বর্তমান পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান পিপিএম যোগদান করার পরপর ই তিনি মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেছেন। যার ফলে মাদক ব্যবসায়ী আজহারুলের কোন কারিসিমা সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশ কে ম্যানেজ করতে পারেন নি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঐ এলাকার একাধিক ব্যক্তি প্রতিবেদক কে বলেন,মাদক ব্যবসায়ী আজহারুলের কাছ থেকে যদি তার এলাকার খুচরা মাদক ব্যবসায়ী রা ফেন্সিডিল -ইয়াবা-মদ না কিনে  অন্য জাগা থেকে কেনে, তাহলে আজহারুল তার খাতিরের কাকডাঙ্গার স্পেশাল বিজিবির সদস্যদের দিয়ে সেসব মাদক ব্যবসায়ীদের বাড়ি মাদক রেখে ফাঁসিয়ে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেন।

মাদক সম্রাট আজহারুল অভিনব কায়দায় ঘরে বসে রমরমা মাদক ব্যবসা করে যাচ্ছে যুগযুগ ধরে। প্রযুক্তি র ছোয়ায় সিসি টিভি ক্যামেরা বসিয়ে পুরো বাড়িটি নজরবন্দি করে রেখেছেন আজহারুল। ক্যামেরা গুলো এমন ভাবে সেট করা যে রাস্তার দুই সাইট দিয়ে কোন আইন-শৃংখলা বাহিনী আজহারুল কে ধরতে আসলে বা অভিযানে আসলে  তিনি ঘরে বসে অগ্রিম দেখতে পান এবং দ্রুত সতর্ক হয়ে যান। ফলে অভিযান চালিয়ে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা তেমন সুবিধা করতে পারেন না।

এদিকে আজহারুলের আটকের বিষয়টি জানতে পেরে গ্যাড়াখালি এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে। মোড়ে মোড়ে সাধারন মানুষ মিষ্টি বিতরণ করেছে।আজহারুল যাদের কে নির্যাতন করেছিলো তারা আজ আজহারুলের আটকের বিষয়টি জানতে পেরে মসজিদে দু রাকাত নফল নামাজ পড়েছেন এবং সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার ও ডিবি পুলিশ কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন