নারী পাচারকারী চক্রের মূল হোতা ইমরান সহ ৩ জন র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

দ্বারা zime
০ মন্তব্য 260 দর্শন

 

বিদেশে নারী পাচারকারী চক্রের মূল হোতা ইমরান গাজীসহ পাচারকারী চক্রের অন্যতম তিন সদস্যকে সাতক্ষীরার শ্যামনগর থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। বৃহস্পতিবার দুপুরে র‌্যাব-৬ এর সাতক্ষীরা ক্যাম্পের একটি চৌকসদল তাদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন। বিকালে র‌্যাব সাতক্ষীরা ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর জেএম গালিব হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানানো হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো-নারী পাচারকারী চক্রের মূল হোতা সাতক্ষীরার শ্যামনগরের ইমরান গাজী, একই এলাকার সাবানা সুলতানা ও খুলনার কয়রা উপজেলার আব্দুস সালাম শেখ।
র‌্যাব জানায়, চলতি বছরের ২১ মার্চ সন্ধায় শ্যামপুর থানাধীন জুরাইন পাইপরাস্তা এলাকা হতে এক নারীকে উক্ত সংঘবদ্ধ মানবপাচার চক্রের সদস্যরা সৗদিআরবে ভাল বেতনে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে ভারতের বসিরহাট নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তাকে কলকাতার একটি যৌনপল্লীতে বিক্রি করে দেয়। অত:পর ভিকটিম যৌনপল্লীর অত্যাচার সহ্য করতে না পারায় উক্ত যৌনপল্লী পরিচালনাকারী লোকজন তাকে আসামীদের নিকট ফেরৎ প্রদান করে তাদের কাছ থেকে গৃহিত অর্থ ফেরত চাইলে আসামীরা অন্য একটি হোটেলে নিয়ে ভিকটিমকে বেধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে যাতে সে যৌনপল্লীতে যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করতে রাজি হয়। তখন ভারতীয় একটি এনজিও বিডিএল স্মাইল চাইল্ড ফাউন্ডেশন উক্ত ঘটনা জানতে পেরে ভিকটিমকে উদ্ধার করে। ভিকটিম বর্তমানে উল্লেখিত এনজিওর হেফাজতে রয়েছে। উক্ত ঘটনার বিষয় অবগত হয়ে ভিকটিমের স্বামী ফয়সাল ঢাকার শ্যামপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলার সূত্র ধরে র‌্যাব সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগরে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে নারী অপহরনপূর্বক পতিতাবৃত্তি করানোর জন্য বিদেশে পাচারকারী চক্রের মূল হোতা ইমরান গাজীসহ উক্ত তিন পাচারকারী চক্রের সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন। প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব আরো জানায়, উক্ত মানবপাচারকারী চক্রটি নিরীহ দরিদ্র মেয়েদেরকে সৌদিআরবসহ বিভিন্ন দেশে ভালো বেতনে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারনার ফাঁদে ফেলে নগদ টাকা আত্মসাৎ ও দেশের বাইরে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে পতিতালয়ে বিক্রি করে থাকে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা স্বীকার করেছে, ইতোপূর্বেও তারা কয়েকজন নারীকে তারা পাশ্ববর্তী দেশে পাচার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদেরকে ঢাকার শ্যামপুর থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন