সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকী র ২২ টি দিন ছিলো খুব চ্যালেঞ্জের।গত ০৭ জানুয়ারি /২৪ তারিখে জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন। আর নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রী: তারিখ তিনি সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার হিসাবে যোগদান করেছেন।নির্বাচনের বাকী ছিল মাত্র ২২ দিন।
এই ২২ দিনে তিনি কোন কাজ রেখে কোন কাজ করবেন? নতুন জায়গার নতুন মানুষ।একটি জেলার আটটি থানা চিনতে তো প্রায় এক মাস সময় লাগে।এত অল্প সময়ে এত বড় গুরু দায়িত্ব।সব মিলিয়ে তিনি কিংকর্তব্যবিমূঢ়!! যোগদান করেই সর্বপ্রথম তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর প্রতিকৃতি তে ফুলেল শ্রদ্ধা জানিয়ে কর্ম দিবস শুরু করেন।
১৫ ডিসেম্বর যোগদান করার পরের দিন ছিলো ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস।তিনি দক্ষতার সহিত জেলা প্রশাসনের সাথে বিজয় দিবস উদযাপন করেছেন পাশাপাশি তিনি জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বিজয় দিবসের সকল অনুষ্ঠান যথাযোগ্য মর্যাদার সহিত পালন করেছিলেন।
তার দুই দিন পরে তিনি সাতক্ষীরার সাংবাদিকবৃন্দের সাথে মিট দা প্রেসের আয়োজন করে সাংবাদিকবৃন্দের সাথে পরিচয় পর্ব শেষ করেন।এবার বিভিন্ন থানা পরিদর্শনে গেলেন নবাগত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকী।সময় এত কম ছিলো যে প্রতিদিন কোনো না কোনো থানা পরিদর্শনে যেতেন পুলিশ সুপার।
পরিদর্শনে গিয়ে তিনি থানার ওসি সহ ফোর্সদের নির্বচান সংক্রান্ত বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করতেন।পুলিশ সুপার এত ব্যস্ততায় দিন পার করেছেন যে সকালে তিনি ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় যেতেন সকালে আবার প্রশিক্ষণ কর্মশালা শেষ করে তিনি একই দিন শ্যামনগর থানা পরিদর্শনে গিয়েছেন।
দফায় দফায় অফিসার ও ফোর্সদের নিয়ে তিনি কল্যাণ সভা করেছেন।বার বার তিনি তাঁর অফিসার ও ফোর্সদের সতর্কবার্তা দিয়েছেন নির্বাচনে কোনো রকম দুর্নীতি করা যাবেনা।
নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে কাজ করার সাথে সাথে তিনি জেলার আটটি থানা এলাকার আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি তার নির্দেশে ওসি ডিবি তারেক ফয়সাল ইবনে আজিজের নেতৃত্বাধীন ডিবি পুলিশ ও সদর ওসি মহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে সদর থানা পুলিশ থার্টি ফাস্ট ও বড় দিন উপলক্ষে দিন-রাত ২৪ ঘন্টাই পরিশ্রম করেছেন।শুধু তাই নয় ভোটের আগে সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশ রেকর্ডব্রেক পরিমান মাদক উদ্ধার করেছে সাতক্ষীরা জেলার আটটি থানা এলাকা থেকে।
সব জল্পনা -কল্পনা শেষ হলো গত ৭ জানুয়ারি /২০২৪ তারিখ সাতক্ষীরায় শান্তিপূর্ণ ভাবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার মাধ্যমে।সত্যিই সাতক্ষীরা বাসী অবাক!! কোনো রকম রক্তপাত -সংঘর্ষ ছাড়াই সাতক্ষীরায় একটি অবাধ – সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। এটি শুধু সম্ভব হয়েছেন সাতক্ষীরা জেলার নবাগত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকী র বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারনে।
তবে নবাগত পুলিশ সুপার কে সর্বাত্মক ভাবে সহযোগীতা করেছেন সাতক্ষীরা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত মো: সজীব খান,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) পদন্নোতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার আমিনুর রহমান,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো: আতিকুল ইসলাম,সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আসাদুজ্জামান, কালিগঞ্জ সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: আমিনুল ইসলাম,দেবহাটা সার্কেল এডিশনাল এসপি এসএম জামিল আহমেদ,তালা সার্কেল এএসপি সাজ্জাদ হোসেন, সাতক্ষীরা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মহিদুল ইসলাম,জেলা ডিবির ওসি তারেক ফয়সাল ইবনে আজিজ সহ জেলার সকল থানার অফিসার ইনচার্জ গণ।
এছাড়া নির্বাচনে র আগে ও পরে সাতক্ষীরা জেলা ট্রাফিক পুলিশের টিআই (প্রশাসন) শ্যামল কুমার চৌধুরীর নেতৃত্বে সার্জেন্ট নাজমুল শিকদার,সাজেন্ট মুকুল,সার্জেন্ট অনিমেষ ও সঙ্গীয় ফোর্স সড়কে শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি দপ্তর কে প্রতিদিন মাইক্রোবাস রিকোজিশনে সহযোগীতা করেছেন।সব মিলিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন সাতক্ষীরার নবাগত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকী।