পুলিশিং যার নেশা,পুলিশিং যার পেশা – তিনি হলেন এসপি সজীব খান

দ্বারা zime
০ মন্তব্য 823 দর্শন

 

পুলিশিং যার নেশা ,পুলিশিং যার পেশা।যিনি পুলিশিং কার্যক্রম টাই মন থেকে করতে  ভালোবাসেন।তিনি হলেন সাতক্ষীরা জেলার (আলফা টু) পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত এসপি মো: সজীব খান।ভালো মুখে ও ভালোবেসে তিনি অফিসার ও ফোর্সদের পেশাগত কাজ করিয়ে নেন।এতে করে অফিসার ও ফোর্সদের একটু কষ্ট হলেও তারা তাদের আলফা টু স্যারের প্রতি ভিষণ খুশি।

খুব কাছ থেকে বিশ্লেষণ করে বোঝা যায়, তিনি একজন ধার্মিক পুলিশ অফিসার।অনেক সাংবাদিক তথ্য সংগ্রহ করতে তার অফিসে যান মাঝেমধ্যে।তখন তারা খেয়াল করেন, আযান দিলেই তিনি শত কাজের ব্যস্ততার ভিতরে অফিস কক্ষে নামাজ আদায় করেন।

তাঁর মাথায় সব সময় একটাই চিন্তা কিভাবে জেলার মানুষ শান্তিতে থাকবে,নিরাপদে থাকবে।শহরে কোনো বাড়িতে চুরি হবেনা, হবেনা কোনো  ছিনতাই -ডাকাতির মত জঘন্য ঘটনা।আর সেজন্য তিনি জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকী র দিক নির্দেশনা মোতাবেক রাত-দিন ছুটে চলেছেন এক ক্লান্তিহীন পথিকের মত।কখনো ধৈয্যহারা হন না তিনি।

মাঝে মধ্যে কিলো ওয়ান বা চেকপোস্ট ডিউটি করতে করতে সংঙ্গীতা মোড়ে চা খেতে আসা দারোগাদের মুখে এসপি সজীব খানের প্রশংসা শোনা যায়।কোনো কোনো দারোগা বলতে থাকে সজীব স্যার যদি কোনো জেলার এসপি হয়ে যান চাহলে আমি সজীব স্যারের পদায়নকৃত ঐ জেলায় চাকুরী করতে যাবো। কারন সজীব স্যারের মত স্যার পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার।আবার কিছু কিছু ওসি দের মুখেও তাদের আলফা টু স্যারের দক্ষতা ও নেতৃত্ব দানের ক্ষমতা নিয়ে প্রশংসা শোনা যায়।বেশ কিছু ওসি সাহেব রা ইচ্ছাপোষণ করেন যে সজীব খান যে জেলার এসপি হবেন, আমরা সজীব স্যারের সাথে চাকুরী করবো।এসপি সজীব খান মানেই অনুপ্রেরণা।সাতক্ষীরা জেলার অফিসার ইনচার্জ গণ ও ফোর্স রা এভাবেই তাদের আলফা টু সজীব স্যারের প্রতি শ্রদ্ধা -সন্মান ও ভালোবাসা প্রকাশ করেন।

সব চাইতে আশ্চর্য জনক ঘটনা হলো সজীব খান কনস্টেবল বদলি করেন লটারীর মাধ্যমে। যার ফলে শতভাগ স্বচ্ছতা র সহিত সজীব খান কনস্টেবলের বিভিন্ন থানা ও ফাড়িতে পদায়িত করতেন।

মানুষের সাথে হাসি মুখে কথা বলাটাই এসপি সজীব খানের সব চাইতে বড় গুন। ধনী-দরিদ্র সকল শ্রেনীপেশা মানুষের সাথে সজীব খান হাসি মুখে কথা বলতেন।যার কারনে সাতক্ষীরার সাংবাদিক সমাজ তাকে মিডিয়া বান্ধব আলফা টু  বলে সম্মোধন করতেন।এছাড়া জেলায় বড় বড় অপরাধ দমনে তিনি নেতৃত্ব দিয়ে সফলতার সহিত প্রত্যেকটি অপরাধে জড়িত আসামীদের আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছেন।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের সেকেন্ড ম্যান হিসাবে তিনি অত্যান্ত সততা ও দক্ষতার সহিত পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ)  থেকে পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি  পেয়েছেন চলতি বছরের ০৭ নভে্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ তারিখে।মঙ্গলবার ৭ নভেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখা থেকে এক প্রঞ্জাপনে ১৫০ জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি দিয়ে প্রঞ্জাপন জারি করে।

বিসিএস পুলিশ ক্যাডার ২৮ তম ব্যাচের মোঃ সজীব খান যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বড়েঙ্গা গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের জন্মগ্রহণ করেন।তিনি সাতক্ষীরা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৯৮ সালে প্রথম বিভাগ প্রাপ্ত হয়ে এসএসসি (বিজ্ঞান বিভাগ) ও ২০০০ সালে ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, যশোর থেকে প্রথম বিভাগে এইচএসসি (বিজ্ঞান বিভাগ) পাস করেন। পরে তিনি ২০০৫ সালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগে অনার্সে প্রথম শ্রেনী প্রাপ্ত হন ও ২০১১ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ সাইন্স বিষয়ে প্রথম শ্রেনীতে উত্তীর্ণ হন।

পুলিশ ক্যাডারে ২৮ তম বিসিএস এর মাধ্যমে তিনি ২০১০ সালের ১ লা ডিসেম্বর সহকারী পুলিশ হিসাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন। রাজশাহীতে অবস্থিত বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি, সারদায় এক বছর মৌলিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ কালে ১৮৫ জন শিক্ষানবীশ সহকারী পুলিশ সুপার মধ্যে তিনি সকল বিষয়ে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে ৯ম স্থান অধিকার পূর্বক তৎকালীন আইজিপি  হাসান মাহামুদ খন্দকার পিপিএম,বিপিএম এর নিকট থেকে সন্মাননা স্মারক ও সনদ পত্র লাভ করেন।

এক বছর পুলিশ একাডেমী সারদাতে প্রশিক্ষণ শেষে পিরোজপুর জেলা পুলিশে শিক্ষানবীশ সহকারী পুলিশ সুপার হিসাবে যোগদান করেন।

বর্ণাঢ্য চাকুরী জীবনে মোঃ সজীব খান ২০১২ সালে সহকারী পুলিশ সুপার পদে নবগঠিত  এসপিবিএন এ যোগদান করেন। নবগঠিত এসপিবিএন এর জন্য প্রস্তাবিত ইউনিফর্মটি পরিধানের জন্য তিনি মনোনিত হন যেটি অত্যন্ত গৌরবের।

২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে  সহকারী পুলিশ সুপার (সদর) হিসাবে তিনি খুলনা জেলা পুলিশে যোগদান করেন।অতপর একই বছর  তিনি বাংলাদেশ বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, সাভার (বিপিএটিসি) তে ৫৪ তম বুনিয়াদী প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহণ পূর্বক ১৬ টি ক্যাডারের ১৭৭ জন প্রশিক্ষণার্থীর মধ্যে ২য় স্থান অধিকারের দূর্লভ গৌরব অর্জন করেন এবং পুরুস্কার স্বরুপ তিনি শ্রীলংকার রাজধানী কলম্বোতে অবস্থিত SLIDA তে দুই সপ্তাহের প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহণ করেন । অতঃপর তিনি সহকারী পুলিশ কমিশনার হিসাবে কেএমপি খুলনাতে সুনাম ও দক্ষতার সহিত চাকুরী করেছেন। এর ই ধারাবাহিতায় তিনি ২০১৫ সালে ইন্ডিয়ার গুজরাটে অবস্থিত ফরেনসিক সাইন্স ইউনিভার্সিটি তে দুই সপ্তাহ মেয়াদী প্রশিক্ষণে অ্ংশ গ্রহণ করেন। তিনি ২০১৬ সালে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার হিসাবে খুলনা রেঞ্জ অফিসে  যোগদান করেন এবং এবং একই বছর নভেম্বর মাসে  এডিশনাল এসপি পদে পদোন্নতি পান।

পরে  সজীব খান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসাবে খুলনা জেলার বি সার্কেলে দীর্ঘ  ৪ বছর সুনাম ও দক্ষতার সহিত পেশাগত দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি কুমিল্লা জেলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) হিসাবে দায়িত্ব পালনের পর ২০২১ সালের ৪ এপ্রিল তিনি সাতক্ষীরা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ)  ও (প্রশাসন ও অর্থ) হিসাবে সুনাম ও দক্ষতার সহিত দীর্ঘ দুই বছর দশ মাস চাকুরীরত আছেন।

এসপি সজীব খান ভাল কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ আইজিপির “শুদ্ধাচার পুরস্কার ২০২১-২২” লাভ করার গৌরব অর্জন করেছেন।বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন পিপিএম-বার, বিপিএম বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে পুলিশ হেড কোয়াটার্সের কনফারেন্স কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে সজীব খানের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন।

ব্যক্তিজীবনে সজীব খান বিবাহিত,তিনি দুই পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক। মানবিক ও জনবান্ধব দক্ষ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত মোঃ সজীব খান প্রতিনিয়ত সাতক্ষীরা জেলার সার্বিক আইন-শৃংখলা নিয়ন্ত্রণে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

লেখক : প্রধান সম্পাদক, আপডেট সাতক্ষীরা।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন