পরিবারের সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে রাজধানীবাসীর ‘বাড়ি ফেরা’ চলছে। ঈদযাত্রার প্রায় শেষ পর্যায়ে সড়ক ও রেলপথে ক্রমেই বাড়ছে যাত্রীর চাপ। সারা বছরের মন্দা কাটিয়ে লঞ্চও পাচ্ছে যাত্রীর দেখা। যাত্রীর চাপ বাড়লেও এবার মহাসড়কে নেই যানজট-দুর্ভোগ।
ছুটি লম্বা হওয়ার কারণে ধীরে ধীরে শহর ছাড়ছে মানুষ। বন্দর-স্টেশন-টার্মিনালে তাই নেই যাত্রীর উপচেপড়া ভিড়। মোটের ওপর স্বস্তিতেই চলছে ঈদযাত্রা।
রবিবার ঢাকার সড়কে যান ও মানুষের ভিড় কম থাকার ছাপ ছিল স্পষ্ট। গতকাল সোমবার ও আজ মঙ্গলবার ঢাকা ছাড়ার শেষ ঢল নামবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যারা মঙ্গলবার ছুটি জোগাড় করতে পারবেন তাঁরা গতকালই অফিস করে দুপুরের পর থেকে বাড়ির পথ ধরবেন।
এদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, আসন্ন ঈদ উৎসব ঘিরে কোনো ধরনের হুমকি নেই। ঈদের ছুটিতে ফাঁকা ঢাকায় ২৪ ঘণ্টা বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সব ধরনের অপতৎপরতা বন্ধে ঢাকা মহানগর পুলিশ সর্বদা তৎপর রয়েছে। রাতের কেনাকাটায় নাগরিক ভোগান্তি কমাতে ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে বলেও জানান তিনি।
ফাঁকা রাজধানীতে ডাকাত ও চোরদের তৎপরতা বেশি দেখা যায় বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পাবলিক রিলেশন্স ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ ফারুক হোসেন। তিনি ঢাকা টাইমসকে বলেন, এবার ঢাকায় ঈদ ছুটিতে মাঠে থাকবে আট হাজার পুলিশ সদস্য। রিজার্ভে থাকবে আরো দুই হাজার পুলিশ।
তিনি বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে আমরা পুরো ঢাকা সিটিকে অপরাধ মুক্ত রাখতে নানারকম উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। শুধু আমাদের ওপর ভরসা করলেই হবে না বাড়িওয়ালা এবং বাড়ির কর্তা ব্যক্তিদেরও কিছু নির্দেশনা মানতে হবে। বাসায় সিকিউরিটি ক্যামেরা স্থাপন ও তা ঠিক মতো কাজ করছে কি না, তা পরীক্ষা করে বাসা থেকে বের হওয়া। এখন প্রতিটি বাড়িতে নিরাপত্তা প্রহরী নিশ্চিত করা। আর মূল্যবান জিনিসপত্র হয় লকারে রাখা না হলে নিকটাত্মীয়ের হেফাজতে রাখা। সিসি ক্যামেরায় কখনও সন্দেহজনক কিছু দেখা গেলে নিকটস্থ থানায় তা অবহিত করা।
ডিএমপি পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ‘ছিনতাই রোধে পুলিশের টিম কাজ করছে। ডিএমপির আট বিভাগে টাস্কফোর্সের কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেখানে ডিসি ও থানা পুলিশ একসঙ্গে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।